মোহাম্মদ হোসেন, হাটহাজারী:

তিন দিনের টানা বর্ষণের ফলে হাটহাজারীতে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে। প্রধান সড়কের সাথে গ্রামের বেশি ভাগ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। হালদার পানিসহ সবকটি নদ-নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে হাটহাজারী উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নে।

সরেজমিন ও বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়,হাটহাজারীর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন,১টি সিটি ওয়ার্ড ও ১টি পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড এলাকার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে। এখানকার মানুষ নৌকা যোগে যাতায়াত করতে দেখা গেছে। এ সব ইউনিয়নের প্রতিটা গ্রামের সড়ক গুলোতে পাহাড়ী ঢলের পানিতে ডুবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।পানি বাড়ার কারণে বাঁধের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। এতে করে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে মানুষ। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার কারণে উপজেলা সহস্্রাধিক পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে।

নি¤œাঞ্চল এলাকার মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা অচল হয়ে পড়ে। এ দিকে ভারী বর্ষণের ফলে উপজেলার পাহাড়ী পাহাড়ের সাথে সংযোগ ছড়ার পানি ¯্রােতে লন্ডবন্ড হয়ে গেছে ক্ষেতের ফসল। তিন দিনের অবিরাম বর্ষণে নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হালদা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় আরো পানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান নি¤œাঞ্চলের বসবাসকারীরা। এতে করে গ্রামের সড়ক গুলোতে ৫/৬ ফুট পানিতে ডুবে যানচলাচল বন্ধ হতে পারে। ভারী বর্ষণের কারনে দিনমজুর অনেক শ্রমিক বেকার রয়েছে। পৌরসভা ও উপজেলার বেশি ভাগ বাজারে ক্রেতা শূণ্য রয়েছে। জলাবদ্ধতা আর পানির ¯্রােতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের মাছ চাষকৃত শতাধিক পুকুর পানিতে ডুবে গেছে।ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাছ চাষীরা। পাহাড়ি ঢল এবং নদীর পানির ¯্রােতে গ্রামের বসতঘর,শিক্ষা প্রতিষ্টান,মসজিদ,মন্দীর আশপাশে ডুবে থাকায় যাতায়াত করতে পাছে না। খেতে খাওয়া দরিদ্র পরিবার গুলো কস্টে দিন কাটছে। স্কুলের পড়–য়া ছাত্র/ছাত্রী,শ্রমজীবি মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। ৩ দিনের ভারী বর্ষণে হালদা নদীর পানি বিপদসীমা অতিবাহিত হচ্ছে। সরেজমিন দেখা যায়, পৌর সভার মোহাম্মদপুর,আলামপুর,ফটিকাও উপজেলার ছিপাতলী,গুমানমর্দন,নাঙ্গলমোড়া,মির্জাপুর,মেখল,গড়দুয়ারা,ফতেপুর,মাদার্শার,চিকনদন্ডী,শিকারপুর,বুড়িশ্চর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে।