কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, সাবেক গণপরিষদ ও সংসদ সদস্য, বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা ইসহাক মিয়ার প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে হাজার হাজার নেতাকর্মী তার নামাজে জানাযায় অংশ নেয়। আওয়ামী লীগ বিএনপির নেতারা ছাড়াও শত শত সাধারণ মানুষ জানাযায় অংশ নেয়।

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ইসহাক মিয়ার প্রথম দফা নামাজে জানাজা নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমামতি করেন ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরি। জানাযা পূর্বে রাষ্ট্রিয় মর্যদায় মরহম ইসহাক মিয়ার মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। লাল সবুজের জাতীয় পতাকা দিয়ে তার কফিন ঢেকে দেয়া হয়।

জানাজা শুরুর আগে ইসহাক মিয়ার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, মানুষ জন্ম নিলেই তার মৃত্যু নির্ধারিত হয়ে যায়। আমাদের প্রবীণ জননেতা ইসহাক মিয়া চলে গেলেন। মানুষের আসা এবং যাওয়ার মধ্যে যে সময়টুকু সেই সময়ে মানুষের মন জয় করতে পারাটাই জীবনের সার্থকতা। ইসহাক মিয়া মানুষের মন জয় করতে পেরেছিলেন।

জানাজা শেষে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম ইসহাক মিয়ার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

জানাযায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমিন, সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সম্পাদক এম এ সালাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল আলম চৌধুরী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক ও বিএনপির সাবেক সাংসদ সরওয়ার জামাল নিজাম, জাসদ নেতা জসীম উদ্দিন বাবুল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী জানাজায় অংশ নেন।

এছাড়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ-ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জানাজায় অংশ নেন।

পরে আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বর্ষিয়ান এ আওয়ামী লীগ নেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।

জানাযা শেষে মরদেহ ইসহাক মিয়ার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় আগ্রাবাদস্থ বাসভবনে দুপুর ২টায় সেখানে দ্বিতীয় দফা জানাযা শেষে মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

উল্লেখ্য গতকাল সোমবার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে নগরীর মেহেদিবাগে ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর এ ঘনিষ্ট্য সহচর প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা ৮৮ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।