ডেস্ক নিউজ:
লঘুচাপের প্রভাবে রবিবার থেকে রাজধানীসহ দেশের সব এলাকায় মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ চলছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। একই সময় হাতিয়ায় দেশের সর্বোচ্চ ২৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আর এই ভারি বর্ষণ আরও দুই দিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এদিকে বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকায় সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে টানা বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাহাড়ি এলাকায় নতুন করে ভূমি ধসের শঙ্কার কথাও বলেছেন আবহাওয়াবিদরা।
জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত এবং মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, রাজধানী ঢাকাসহ রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
এ সময় ঝড়ো হাওয়া আশঙ্কায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমদুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ ব্যাপারে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে মঙ্গলবার দিনের প্রথম ভাগে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি (৪৪ – ৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারি (৮৯ মিমি বা অধিক) বর্ষণ হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, বৃষ্টিপাতের এ প্রবণতা আরও দুই দিন অব্যাহত থাকবে। ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসেরও আশঙ্কা রয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।