ডেস্ক নিউজ:
আজ (মঙ্গলবার) শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ। সারা দেশের বাড়ি গিয়ে তিন দফায় তথ্য সংগ্রহ করা হবে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ময়মনসিংহে টাউন হলে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। এ সময় চার নির্বাচন কমিশনারও উপস্থিত থাকবেন।
আগামী বছরের (২০১৮ সালের) ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বা তার বেশি হবে তাদের তথ্য সংগ্রহ শুরু হবে।
নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সোমবার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে তারা বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করবে। প্রথম দফায় ১৮৩টি উপজেলার তথ্য সংগ্রহ শুরু হবে। আগামী ৯ অগাস্ট পর্যন্ত এ কাজ চলবে।’
তিন ধাপের তথ্য সংগ্রহের প্রথমধাপে ২৫ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত ১৮৩টি উপজেলার বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ভোটার নিবন্ধন করা হবে ২০ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। দ্বিতীয় ধাপে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ ২১৬টি উপজেলা এবং তৃতীয় ধাপে ১৪ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাকি ১১৮টি উপজেলার তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম চলবে। এরপর ভোটারের তথ্যগুলো নিবন্ধন করা হবে। হালনাগাদে ঠিকানা স্থানান্তর ও মৃত ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়া হবে।
বর্তমানে ১০ কোটি ১৮ লাখের বেশি নাগরিক ভোটার তালিকাভুক্ত রয়েছে। হালনাগাদে নতুন করে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ ভোটার অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বলে ইসি কর্মকর্তারা মনে করছেন। হালনাগাদে যোগ হওয়া নতুন ভোটাররাও একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। নতুন ভোটারসহ আগামী বছর ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে ইসি।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি রয়েছে ইসির। রোহিঙ্গা ভোটার ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। রোহিঙ্গা ভোটার ঠেকাতে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার সবগুলো, রাঙ্গামাটির ৮টি ও চট্টগ্রামের ৭টি উপজেলাসহ ৩০টি উপজেলাকে বিশেষ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব এলাকায় ভোটার তালিকায় নিবন্ধিত হতে নাগরিকদের বা, মা, চাচা ও ফুফু এই চারজনের পরিচয়পত্র দেখাতে হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।