এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া:
চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের চোয়ারফাঁিড় স্লুইচ গেইটটি বন্ধ থাকার কারনে টানা ভারি বর্ষনে মাতামুহুরী নদীতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি ফুলে পেপেঁ উঠেছে। এ অবস্থার কারনে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে উপজেলার নিমাঞ্চল। এ অবস্থার কারনে পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও চকরিয়া পৌরসভার এলাকার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। অব্যাহত বৃষ্টিপাতে পানি জমে থাকার কারনে গতকাল সকাল থেকে পানিবন্দি মানুষের মাঝে দুর্ভোগ বেড়ে গেছে।
জানা গেছে, সাহারবিলের চোয়ার ফাঁড়ি স্লইচ গেইটটি বন্ধ থাকার কারণে উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের চারটি ইউনিয়নের হাজার হাজার বসতঘর, অভ্যান্তরীণ গ্রামীণ সড়ক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। পানি নিস্কাশন ব্যহৃত হওয়ার কারনে উপজেলা বদরখালী, ডেমুশিয়া, কোনাখালী ও পূর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের বির্স্তীণ জনপদ বর্তমানে পানিতে ভাসছে। টানা কয়েকঘন্টা বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ফের নতুন করে বন্যার আশঙ্কা করছেন এলাকার জনপ্রতিনিধিরা।
এলাকার জনপ্রতিনিধিরা ভারী বর্ষণ ও বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া এলাকার জমাট পানি অপসারণে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে নির্মিত স্লইচ গেইট খোলা রাখার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
সাহারবিল ইউনিয়নের চিংড়ী চাষি আবদুর রহিম বলেন, সম্প্রতি সময়ে চকরিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার সাহারবিলের কোরালখালী এলাকায় তার মৎস্যঘেরে বন্যার পানি ডুকে মাছ ভেসে যায়। এতে করে তার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন,উপকূলীয় চার ইউনিয়নকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে হলে চোয়ারফাঁড়ি স্লইচ গেইটি খোলা রাখতে হবে। যাতে বৃষ্টি ও মাতামুহুরী নদীর পানি সহজে লোকালয় থেকে সরে যেতে পারে। তাহলে উপকুলীয় অঞ্চলের জনসাধারণ ও মৎস্য চাষিরা পরিত্রাণ বলে।
সাহারবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল বলেন, চোয়ারফাঁড়ি এলাকার স্লইচ গেইটের কয়েকটি পাতাটন নষ্ট হওয়ার কারণে স্লুইচের দরজা খোলা সম্ভব হচ্ছেনা। তবে বিষয়টি দ্রুত সময়ে সমাধানের জন্য ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।