মোহাম্মদ হোসেন, হাটহাজারী,
দুই দিনে ভারী বর্ষণের ফলে হাটহাজারী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন, ১টি সিটি ওয়ার্ড ও ১টি পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড এলাকার বিভিন্ন স্থানে প্লাবিত হয়েছে। গ্রামীন সড়ক গুলোতে পাহাড়ী ঢলের পানিতে ডুবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা অচল হয়ে পড়ে। এ দিকে ভারী বর্ষণের ফলে উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধিক ছড়ায় পাহাড়ী পানি স্রোতে লন্ডবন্ড হয়ে গেছে ক্ষেতের ফসল। দুই দিনের বৃষ্টিতে নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হালদা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় আরো পানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান নিম্নাঞ্চলের বসবাসকারীরা। এতে করে গ্রামের সড়ক গুলোতে ৪/৫ ফুট পানিতে ডুবে যানচলাচল বন্ধ হতে পারে। ভারী বর্ষণের কারনে দিনমজুর অনেক শ্রমিক বেকার রয়েছে। পৌরসভা ও উপজেলার বেশি ভাগ বাজারে ক্রেতা শূণ্য রয়েছে। জলাবদ্ধতা আর পানির স্রোতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের মাছ চাষকৃত শতাধিক পুকুর পানিতে ডুবে গেছে।ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাছ চাষীরা। পাহাড়ি ঢল এবং নদীর পানির স্রোতে গ্রামের বসতঘর,শিক্ষা প্রতিষ্টান,মসজিদ,মন্দীর আশপাশে ডুবে থাকায় যাতায়াত করতে পাছে না। খেতে খাওয়া দরিদ্র পরিবার গুলো কস্টে দিন কাটছে। স্কুলের পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রী,শ্রমজীবি মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। ২ দিনের ভারী বর্ষণে হালদা নদীর পানি বিপদসীমা অতিবাহিত হচ্ছে। সরেজমিন দেখা যায়, পৌর সভার মোহাম্মদপুর,আলামপুর, ফটিকাও উপজেলার ছিপাতলী, গুমানমর্দন, নাঙ্গলমোড়া, মির্জাপুর, মেখল, গড়দুয়ারা, ফতেপুর, মাদার্শার, চিকনদন্ডী, শিকারপুর, বুড়িশ্চর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে।
বৃদ্ধি পাচ্ছে হালদা নদীর পানি
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।