নুরুল কবির,বান্দরবান থেকে:
বান্দরবানে ভারী বর্ষণ অব্যহত রয়েছে। বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের বাজালিয়া নামক এলাকায় রাস্তায় পানি উঠে যাওয়ায় সারাদেশের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। রোববারের পাহাড় ধসের ঘটনায় নিখোঁজ কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা, পোষ্ট মাষ্টার, স্বাস্থ্য কর্মী ও ৮ম শ্রেনী পড়–য়া শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে ২য় দিনের উদ্ধার হয়নি। দু’দিনের ভারী বর্ষণে বান্দরবানের নিন্মাঞ্চল গুলো প্লাবিত হয়েছে। শহরের শেরে বাংলা নগর, ইসলামপুর, কাশেমপাড়ার নিন্মাঞ্চল গুলো প্লাবিত হয়েছে।

উজানের পানির ঢলে বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের বাজালিয়া নামক এলাকায় রাস্তার উপর পানি উঠে যাওয়ায় সারাদেশের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে এই সড়কে চলাচলকারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে বান্দরবান-রুমা সড়কের দলিয়ান পাড়া এলাকায় গতকাল পাহাড় ধসের ঘটনায় ৪ জন নিখোঁজ ছিল। নিখোঁজ ৫ জনের মধ্যে বিকেল ৩টার দিকে এক জনের লাশ উদ্ধার হলেও বাকী ৪ জনকে উদ্ধার করা যায়নি। সোমবার সকাল থেকে সেনা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও রেড ক্রিসেন্টের একটি যৌথ টিম উদ্ধার তৎপরতায় নেমেছে। ভারী বর্ষণ অব্যহত থাকায় উদ্ধার কাজ মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে। নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন, কৃষি ব্যাংক, রুমা শাখার কর্মকর্তা গৌতম নন্দি, রুমা উপজেলা পোষ্ট মাষ্টার রবিউল আলম, রুমা উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মী মুন্নি বড়–য়া ও রুমা সাংগু জুনিয়র হাই স্কুলের ৮ম শ্রেনী পড়–য়া শিক্ষার্থী চিং মে সিং মারমা। নিখোঁজ রুমা উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মী মুন্নি বড়–য়া ছোট ভাই সাংবাদিক রাহুল বড়–য়া ছোটন জানান, সোমবার বিকাল পর্যন্ত বৃষ্টির মধ্যেই লাশে জন্য ঘটনাস্থলে অপেক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু পরনে জামার কাপড় ও হাতের ব্যাগটি ছাড়া বোন মুন্নিকে পাওয়া যায়নি

সেনাবাহিনীর ১৯ ইসিবির নির্মাণ প্রকৌশল ব্যাটলিয়নের কর্মকর্তা ওয়ারেন্ট অফিসার নাজমুল হুদা বলেন, রুমা ওয়াই জংশন এলাকায় পাহাড়ের মাটি ধসে নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে ভারী বর্ষণ অব্যহত থাকায় উদ্ধার কাজ মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে। এবং দ্রুত সংস্কার কাজ করারর মাধ্যমে বান্দরবান-রুমা সড়কে পুনরায় যানবাহন চলাচল চালু করার কাজ জোরদার করা হয়েছে ঘটনার সময় সেখানে সেনা প্রকৌশলের সদস্যরা সড়কের সংস্কার কাজ কর ছিলেন।

এদিকে, ভারি বর্ষণের কারণে গত জুন মাসে রুমা সড়কের ওই অংশে পাহাড় ধসে পড়লে প্রায় এক মাস সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। গত কয়েকদিন ধরে আবারো ভারি বর্ষণ হলে ওয়াই জংশন এলাকার দলিয়ান পাড়ার কাছে পাহাড় ধসে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া অন্যান্য সড়কগুলোতে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।