এস. এম. তারেক, ঈদগাঁও:
সাম্প্রতিক বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া কক্সবাজার সদরের গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ সড়ক ঈদগাঁও ফরাজীপাড়া থেকে পোকখালী সড়কে অদ্যবধি সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যে কারণে প্রতিদিন দূর্ভোগ পোহাচ্ছে ওই সড়ক ব্যবহারকারী হাজার হাজার মানুষ। বন্যার পর থেকে অদ্যবধি বাঁশের তৈরী দু’টো সাঁকোর উপর দিয়ে এপার ওপারে যাওয়া আসা করছে এলাকার লোকজন। রোগী, স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের যেন কষ্টের শেষ নেই। বন্যার পানির তোড়ে প্রথম ভেঙ্গে যায় ঈদগাঁও নদীর বেড়িবাধের জালালাবাদ অংশের ছাতিপাড়া পয়েন্ট। ওই পয়েন্ট দিয়ে দিয়ে আসা বন্যার পানির প্রবল ¯্রােতে পরদিন ভেঙ্গে যায় সড়কের রাবার ড্যাম সংলগ্ন ব্রীজ পয়েন্ট এবং পূর্ব লরাবাক হাফেজখানা পয়েন্ট। দুটি ভাংগনই বড় বড় হওয়ায় নিকট ভবিষ্যতে ঈদগাঁও’র সাথে ফরাজীপাড়া ও পোকখালীর যোগাযোগ প্রতিষ্টিত হতে সময় সাপেক্ষ ব্যাপার বলে মনে করছেন জালালাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ লরাবাক গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম। অবশ্য ২০ জুলাই দুপুরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী এ.এস.এম. শাহেদুর রহিম ও উপজেলা প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান এবং সহকারী প্রকৌশলী সালাহ উদ্দিন ওই সড়কের ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শণ করে গেছেন।
সূত্র জানায়, শ্রীঘ্রই সড়কের ভাঙ্গন মেরামত কাজ শুরু করা হবে। এদিকে ভাঙ্গা বেড়িবাধ নির্মাণের কাজ চলছে জোরেশোরে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিন সকাল ৮ টা’ থেকে রাত ১০ টা’ পর্যন্ত শ’খানেক লোক কাজ করছে বেড়িবাধের ভাঙ্গন এলাকায়। ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদের নেতৃত্বে অপরাপর ওয়ার্ড মেম্বার এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা এসে মেরামত কাজ তদারকি করছেন। এলাকাবাসী দুর্দশা লাঘবে শ্রীঘ্রই সড়কের ভাংগন এলাকার কাজ শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ঈদগাঁও’র সাথে ফরাজীপাড়া পোকখালীর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।