সংবাদদাতা:
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন ফাসিঁয়াখালী রেঞ্জ এর অফিস সংলগ্ন মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিষ্ঠান হাসাপাতালের উত্তর পাশের সড়কের লাগোয়া গর্জন গাছের বাগান এলাকায় রাতা রাতি নতুন করে ২০ টি দোকান ঘর ও বসত বাড়ি নির্মাণ করায় এলাকায় চলছে বন বিভাগের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় । স্বয়ং এগুলো নির্মাণ করেছে ক্রেল ও ভিলিজারের লোকজন ।
জানা যায় , চকরিয়া ফাসিঁয়াখালী রেঞ্জ অফিসের আওতাধীন বিশাল মাদার ট্রি গর্জন ও সেগুন গাছের বিশাল বাগান রয়েছে । এসব বাগানের তলে তলে ডুলাহাজারা ইউনিয়নে অন্ততপক্ষে সহ¯্রাধিক বসত বাড়ি নির্মাণ হয়েছে পর্যায়ক্রমে । ভিলিজারি সাইনবোর্ড দিয়ে এসব বসত বাড়ি নির্মাণ করছে বন বিভাগের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া অন্যান্য জায়গা ও দখল করে অন্য জনের কাছে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা । এমনকি ফাসিঁয়াখালী রেঞ্জের আওতাধীন রিংভং ছগির শাহ্ এলাকায় প্রায় ৩ শত একর ভিলিজারি জায়গাতে হাল-চাষ হচ্ছে । পাশাপাশি কয়েকটি চিংড়ি ঘের ও রয়েছে । এসব কৃষি ও চিংড়ি জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষ ঘটনা সহ বিভিন্ন আদালতে মামলাও হয়েছে ।
সূত্র জানায় , এসব কৃষি ও চিংড়ি জমি বন বিভাগের আওতায় নিয়ে ইজরা দেয়া হলে সরকার প্রতি বৎসর ছগির শাহ্ কাটা এলাকা থেকে অন্তত পক্ষে ৩০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হবে । সর্বশেষ জরিফে দেখা যায় একই দখল বাজরা গত ১৯ ও ২০ জুলাই রাতে মালুমঘাট খ্রিষ্টান হাসপাতালের উত্তর পাশে ২০ টি দোকান ও বসত ঘর নির্মাণ করেছে ।
বন বিভাগ এসব দেখেও নিরব ভূমিকা পালন করায় এলাকায় চলছে বন কর্মিদের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় । এদিকে রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল মতিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ,দখল উচ্ছেদ করতে গেলে আ’লীগের নেতা কর্মীরা বাধা দেওয়ায় এসব নির্মাণাধীন দোকান ও বসত ঘর উচ্ছেদ করা সম্ভব হচ্ছেনা
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।