বিনোদন ডেস্ক:
গল্পটা অনেক আগের। ভালোবাসা দিবস এলেই থরোথরো আবেগ হাতে বাসার দরজায় ফুল রেখে এসে মিথিলাকে ফোন করতেন তাহসান খান। দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
গভীর প্রেম, অতঃপর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় বাঁধা। সালটা ২০০৬। তাদের এমন ভালোবাসার গল্পে নাটকও নির্মাণ হয়েছে। ঈর্ষা জাগানো এ জুটি বৃহস্পতিবার সকালে বাংলা ট্রিবিউনকে এক ক্ষুদে বার্তায় জানালেন মন খারাপের তথ্য। তারা আর একসঙ্গে থাকছেন না। দুজনে বিয়ে বিচ্ছেদ করতে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে এর আনুষ্ঠানিকতা শুরুও হয়ে গেছে।
বার্তায় তাহসান ও মিথিলা বলেন, ‘বেশ কয়েকমাস ধরে নিজেদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব বা মতবিরোধ নিরসনের চেষ্টার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সামাজিক চাপে একটা সম্পর্ক ধরে রাখার চেয়ে আমাদের আলাদা হয়ে যাওয়াই মঙ্গলজনক।’
ভক্তদের উদ্দেশে তারা বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি যে, এটা আপনাদের খুব খারাপ লাগবে। সেজন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা সবসময় নিজেদের সম্পর্ক সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে বজায় রেখেছিলাম, ভবিষ্যতেও তাই থাকবে। আমরা আশা করি, আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন।’
এদিকে বিষয়টি নিয়ে তাহসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিচ্ছেধ নিয়ে নিয়ে খুবই কষ্টের মধ্যে আছি আমরা। এরমধ্যে অনলাইনে নানা ধরনের সংবাদ ছড়াচ্ছে। আসলে বিস্তারিত কথা বলার মতো অবস্থায় আমরা নেই। তবে আমরা আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষীদের পাশে চাই।’
২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল এ তারকাদ্বয়ের ঘরে আসে এমমাত্র কন্যাসন্তান আইরা তাহরিম খান। জানা গেছে, তারা সমঝোতার মাধ্যমে আইরার দেখভাল করবেন।নাটকের কাজে ফটোসেশন করেছিলেন তাহসান ও মিথিলা। ছবিটি সংগৃহীত
তাহসান মিথিলার পরিচয় গানের মাধ্যমে। তাহসান তখন ব্ল্যাক ব্যান্ডের গায়ক। এক বন্ধুর সঙ্গে তাহসানের আড্ডায় গান শুনতে যান মিথিলা। এরপর পর ধীরে ধীরে সম্পর্ক পরিণয়ে গড়ায়। বিয়ের পর এ জুটি একাধিক নাটকে উপস্থিত হয়েছেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ভালোবাসা দিবসের বিশেষ নাটকের জন্য কাজ করেন তারা। এটির নাম ‘আমার গল্পে তুমি’। নাটক ছাড়াও এ জুটি একসঙ্গে গানও গেয়েছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।