মোঃ বেলাল উদ্দিন বেলাল, প্রকাশক, দৈনিক কক্সবাজার ৭১,
সাং-শহীদ স্মরনী (কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বিপরীতে), কক্সবাজার পৌরসভা।
থানা ও জেলা- কক্সবাজার।
—————— লিগ্যাল নোটিশ গ্রহীতা।
আবু নফর, পিতা-মৃত সোলতান আহমদ
সাং-দক্ষিণ ডিককুল, ঝিলংজা, কক্সবাজার।
এর পক্ষে-
রেজাউল করিম রেজা, এডভোকেট,
জেলা ও দায়রা জজ আদালত, কক্সবাজার।
—————– লিগ্যাল নোটিশ দাতা।
এতদ্বারা নোটিশ দাতা আমার উপরোক্ত মক্কেল কর্তৃক অনুরুদ্ধ হয়ে তার পক্ষে আপনি নোটিশ গ্রহীতার প্রতি এই মর্মে নোটিশ প্রদান করছি যে, আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে গত ১৮/০৭/১৭ইং তারিখ আপনার প্রকাশিত ‘দৈনিক কক্সবাজার ৭১ পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় “মানব পাচারকারী বার্মাইয়া আবু নফরের রম্য অট্রালিকা” নামে সংবাদটি আমার মক্কেলের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদের নামে এ রকম ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট, জালিয়াতি, মিথ্যা তথ্যে ভরপুরসহ সংবাদের নামে চরম মিথ্যাচার করা হয়েছে। দেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধান অনুযায়ী একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকারের উপরে হস্তক্ষেপ করা সংবাদের নামে নোংরামী ও জঘন্য অপরাধের শামিল। সাংবাদকিতার নামে মানুষের মান সম্মান এবং মানুষের ব্যক্তি পরিচিতি নিয়ে ব্যঙ্গ ও মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী একটি জঘন্য অপরাধ। উক্ত সংবাদের ভাষা এতই নোংরা ছিল যে, আমার মক্কেল উক্ত সংবাদের জবাব কোন জায়গা দিয়ে দিবে তা যেমন খোঁজে পাচ্ছে না তেমনি কোন রুচিশীল মানুষের পক্ষে এরকম নোংরামী জবাবের ভাষাও মানুষ খোঁজে পায় না। তারপরও আপনার সংবাদে অদক্ষতা ও নোংরামী সংশোধনের জন্য আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, ষড়যন্ত্রকারীরা ষড়যন্ত্র মুলকভাবে আমার মক্কেলের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিলে আমার মক্কেল মহামান্য হাইকোর্টের রীট পিটিশন নং ৬৩৬১/১৬ দায়ের করিলে মহামান্য হাইকোর্টের ২জন বিচারপতি বিগত ২৪/০৫/২০১৬ইং তারিখে আমার মক্কেলকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়াকে অবৈধ ঘোষনা করে তাকে বর্তমান ভোটার তালিকায় অর্ন্তভুক্তির আদেশ প্রচার করেন। উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগে লিপটু আপীল নং-২৭৫০/১৬ইং দায়ের করিলে মহামান্য সুপ্রীমকোর্ট বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ যথাক্রমে মাননীয় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, মাননীয় বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসাইন, মাননীয় বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিক, মাননীয় বিচার মির্জা হোসেন দায়দার এর পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ গত ০৪/১২/১৬ইং তারিখের আদেশে নির্বাচন কমিশনের আপীল খারিজ করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখে আমার মক্কেলকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার আদেশ দেন। মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আদেশের অনুবলে নির্বাচন কমিশন আমার মক্কেলকে যথারীতি ভোটার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করেন। যার এন.আই.ডি নং- ১৯৮২২২২২৪০৪৩৩৫৮২৬ ফরম নং-৩৩৫৮৫৬ ভোটার করে কোড ১৩০৯ দক্ষিণ ডিককুল ভোটার সিরিয়াল নং-৫৭৯, ভোটার নং-২২১৩০৯০০০০২৪ যেখানে দেশের সর্বোচ্চ আদালত একজন নাগরিককে বৈধ বাংলাদেশী নাগরিক ঘোষনা করেছেন, সেখানে আপনি এবং আপনার প্রতিবেদক আমার মক্কেলকে বার্মাইয়া উল্লেখ করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার পাশাপাশি চরম তথ্যসন্ত্রাস করেছেন। তথ্য সন্ত্রাসের পিছনে আপনার কি স্বার্থ লুকিয়ে আছে তা আমার মক্কেলের কাছে যেমন স্পষ্ট নই। তেমনি আপনি কার উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতেছেন তাও স্পষ্ট নয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার সাহস দেখে আমার মক্কেল এবং দেশের সচেতন মানুষ স্তম্ভিত হয়েছে। আপনার বিশেষ প্রতিবেদন এতটা অদক্ষ ও অথর্ব ছিল যে, কি লিখতে কি লিখেছেন সেটা যেমন স্পষ্ট নয় এবং তিনি যে কারো কথায় ব্যবহার হয়েছেন সেটা আপনার সংবাদে স্পষ্ট। আপনার বিশেষ প্রতিবেদক সংবাদের প্রথমাংশে উল্লেখ করেছেন যে, আমার মক্কেল ঝিলংজা ইউনিয়নের উত্তর ডিককুলে সরকারী বন ভূমি দখল করে প্লট বিক্রি করতেছেন। অথচ কক্সবাজার একজন শিশুও জানে যে, ঝিলংজা ইউনিয়নের উত্তর ডিককুলে সরকারী কোন বন ভুমি নেই। আসলে অন্ধ হলে প্রলয় যেমন বন্ধ হয় না তেমনি কারো নুন খেয়ে গান গেলে সুর উঠেনা। আপনার প্রতিবেদক এ রকম নুন খাওয়া গান গেয়ে কার সুর তুলতে চেয়েছেন সেটা কক্সবাজারবাসীর কাছে পরিস্কার হওয়ার প্রয়োজন আছে। আপনার পত্রিকায় প্রকাশিত অপসংবাদে আমার মক্কেলকে মানব পাচারকারী উল্লেখ করে চরম দৃষ্টতা দেখিয়েছেন। আমার মক্কেলের নামে বাংলাদেশের চর্তুকোনায় মানব পাচারের মামলা বা অভিযোগ যেমন নেই তেমনি কোন তথ্যের ভিত্তিতে আমার মক্কেলকে মানব পাচারকারী উল্লেখ করেছেন তা কক্সবাজারবাসীর কাছে পরিস্কার করা নৈতিক ও আদর্শিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আপনি আমার মক্কেলকে ইয়াবা ব্যবসায়ী উল্লেখ করেছেন। আমার মক্কেলের নামে কোথাও মাদক বা অন্য মামলা যেমন নেই তেমনি আপনি এবং আপনার প্রতিবেদক সচেতন নাগরিক হলে মাদকের কোন তথ্য আপনাদের কাছে থাকিলে সেটা আইনশৃংখলা রক্ষকারী বাহিনীকে জানানো একজন নাগরিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আপনার এই রকম কিছু না করে একটা তথ্য সন্ত্রাস করা অসৎ উদ্দেশ্য সামিলের অপচেষ্টাও বটে। আমার মক্কেল কখনও কোন অবস্থাতে কোন কালে অনিবন্ধিত শরনার্থী হিসেবে থাকার প্রশ্নই যেমন উঠে না একজন জন্মসুত্রে বাংলাদেশী নাগরিককে রোহিঙ্গা এবং ক্যাম্পে থাকার কথা উল্লেখে সংবাদ প্রকাশ করে আপনি চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। আমার মক্কেল ও তার আত্মীয়-স্বজন দীর্ঘ ১ যুগেরও বেশী সময় এবং বর্তমানেও অনেক নিকট আত্মীয়-স্বজন মধ্যপ্রাচ্যের চাকরী ও ব্যবসা বানিজ্য করে বৈধভাবে এদেশে ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনা যেমন করেন তেমনি তিনি একজন সম্মানিত আয়কর দাতাও বটে। আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, আমার মক্কেলের TIN নং-৩৯২-১১০-১৮১১/ সার্কেল -৮৪ E-TIN- ২৮৪০২৪৮৮৭৫১৯/ সার্কেল-৮৪ আমার মক্কেলের যাবতীয় সম্পদের বিবরণী উক্ত আয়কর হিসাব পর্যালোচনা করিলে পরিস্কার হিসাব পাওয়া যাবে। আমার মক্কেল একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। অন্যান্য ব্যবসায় সাথে তার জায়গা জমির ব্যবসাও রয়েছে। ঝিলংজা মৌজার বি.এস ৬৫৮৪, ৫৫৩৬,৮৩৪৯নং খতিয়ানে তার নামে চূড়ান্ত প্রচার আছে। আমার মক্কেল কখনও কোনকালে বন বিভাগের কোন জায়গা দখলও যেমন নেন নাই, তেমনি ব্যবসাও করে নাই। আমার মক্কেলের নামে প্রচারিত উক্ত খতিয়ান গুলো পর্যালোচনা করলে তার যাবতীয় জায়গা জমির হিসাব পাওয়া যাবে। আমার মক্কেলকে আর.এস.ও উল্লেখ করে আপনারা দেশ দ্রোহিতার অপরাধ করেছেন। আপনারা কোন স্বার্থে এ সকল তথ্য সন্ত্রাস করেছেন তা যেমন পরিস্কার নয়, তেমনি কথিত ছালাউলের সাথে আমার মক্কেলের সম্পর্কের কথা জুড়ে দিয়ে নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়েছেন। আপনার সংবাদটা এতই মিথ্যা ও কাল্পনিক ছিল যে, আপনারা কারাবন্দি যে ছালাউলের কথা বলেছেন আমার মক্কেল স্থানীয় ভাবে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন যে, ছালাউল গত ১ বছর যাবত তার প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কাজ কর্ম নিয়ে বস্ত আছেন। যদিও হাফেজ ছালাউলের কাজ কর্মের সাথে আমার মক্কেলের কোন সম্পর্ক নেই। ্আপনার সংবাদের মিথ্যাচারের জবাব দিতে গেলে একটা পত্রিকার পুরো পৃষ্ঠায় লাগবে। আপনার সর্বশেষ মিথ্যা ও প্রতারনার নজির হচ্ছে আপনার প্রতিবেদনে শেষ বক্তব্য হচ্ছে-আমার মক্কেল আপনার প্রতিবেদকের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন। অথচ আমার মক্কেল নিশ্চিত করেছেন যে, আপনার প্রতিবেদক বা অন্য কেহ এই সংবাদ সংক্রান্তে কারো সাথে কোন প্রকার কথা বলেননি। আপনি আমার মক্কেলের সাথে কথা বলেছেন বলে চরম প্রতারনা করেছেন। অত্র নোটিশ প্রাপ্তির/অবগত হওয়ায় ৩ কার্য দিবসের মধ্যে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের জন্য আপনি আপনার সংবাদের মিথ্যাচারে জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সংশোধনী অত্র নোটিশের মর্ম অনুযায়ী প্রতিবাদ প্রকাশ করিবেন। অন্যথায় আমার মক্কেল আপনাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি, জালিয়াতি, প্রতারনা ও মানহানীর মামলাসহ দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
বিষয়টি অতীব জরুরী।

ধন্যবাদান্তে-
রেজাউল করিম রেজা
এডভোকেট
জেলা ও দায়রা জজ আদালত, কক্সবাজার।