জাহেদুল ইসলাম
চট্টগ্রামের জনপ্রিয় শিল্পী শামান্তা শাহীন। গানের জগতে সুরের ঝংকার তুলে শ্রোতাতের মুগ্ধ করে তুলেন। ছোট বেলা থেকেই গান করেন। সংগীতে প্রেরণার উৎস তার মমতাময়ী মা খতিজা বেগম। ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর হারুয়ালছড়ি গ্রামের গাজী বাড়িতে তার জন্ম।
শিক্ষা জীবনে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে গানকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। শিল্পী শামান্তা শাহীন এক সন্তানের জননী।
শামান্তা শাহীনের গানে মুগ্ধ শ্রোতা ছিল তার পরিবারের মানুষগুলো। বেড়ে উঠার সাথে সাথেই গান কে পেশার সাথে যুক্ত করলেন।
চট্টগ্রামের যে কোনো স্টেজ প্রোগ্রামে তার ডাক রয়েছে। ২০০৯ সাল থেকেই চট্টগ্রামকে মাতিয়ে রেখেছেন। চট্টগ্রাম বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র মাঝে মাঝে গান করে থাকেন। এখন শামান্তা তার সূর পরিধি ছড়িয়ে দিতে চান আরো বেশি।
অাধুনিক, চট্টগ্রামের অাঞ্চলিক, ভান্ডারী, কাওয়ালী, ফোক সব ধরনের গানেই তার পারদর্শিতা। তিনি ঢাকাইয়া ফিল্মে আর টিভি গুলোতে প্রোগ্রাম করার আগ্রহ পোষন করেছেন। গানের ভূবনে সাফল্যের শিখরে উঠতে চান শামান্তা শাহীন।
শামান্তা শাহীন দুই বোন,এক ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। পরিবারের সবাই সংসার নিয়ে ব্যস্ত হলেও সে গানের পাখি।
শামান্তা শাহীনের সাথে আলাপ করে জানা যায়, তার সংগীতের প্রথম শিক্ষক হাতের কাছে থাকা ছোট রেডিও। তারপর বিভিন্ন শিল্পীর গান শুনা। তাদের মধ্যে কিংবদন্তি শিল্পী মনির খান তার গানের প্রেরণা। মনির খানের গান শুনে নিজেকে বুঝতে শিখেছে। প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে বাঁচার সাহস পেয়েছে। সংগীতের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি পেয়েছে তার। এ ছাড়াও রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াছমিন, কনকচাঁপা, এন্ড্রু কিশোর তার গানের প্রাণ। জীবনে যদি কিছুর প্রতি দুর্বল হয়ে থাকে তা হচ্ছে শুধুই সংগীত। সংগীত নিয়েই যত স্বপ্ন-অাশা।
বিভিন্ন সংগীত গুরুর থেকেও তালিম নিয়েছেন। তাদের মধ্যে অাছেন এ.কে. অাজাদ বাবুল স্যার, মৃদুল বাবু, বাণী কুমার চৌধুরী এবং ভূপতি ধর।
অাধুনিক, ফোক, অাঞ্চলিক ও মরমী গানের প্রতি বিশেষ অাগ্রহ। গানের জগতে শামান্তা নিজেকে মেলে ধরে আরো দূরে যেতে চাই এবং গানের এ্যালবাম তৈরি করতে আগ্রহী। সে সকলের নিকট দোয়া ও ভালোবাসা চেয়েছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।