সিবিএন:
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে কক্সবাজারে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। সাগর উত্তাল রয়েছে। খারাপ আবহাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা। কক্সবাজার এখন প্রায় পর্যটক শূন্য। ক্ষতি পোশাতে না পেরে চলছে আবাসিক হোটেলে কর্মী ছাটাঁই। ৫০ শতাংশ ছাড়েও মিলছেনা পর্যটক।
যারা এসব উপক্ষো করে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছেন তারাও পড়েছেন বিপাকে। বুধবার সকাল থেকে অবিরত বৃষ্টিত হওয়ায় হোটেলের কক্ষে অবসর সময় কাটাচ্ছেন। আর যারা সমুদ্র সৈকতে এসে পানিতে নামতে চাচ্ছেন তাদের নামতে দেয়া হচ্ছে না। লাইফগার্ড কর্মীরা বলছেন, সাগর উত্তাল থাকার কারণে কাউকে পানিতে নামতে দেয়া হচ্ছে না।
এছাড়াও রয়েছে ক্যামেরাম্যান, বাইক চালক, স্পীডবোর্ড চালক, সামুক ঝিনুকের কারিগরসহ আরো সৈকত কেন্দ্রিক নানা জীবিকার মানুষ পার করছে বেকার জীবনযাপন। স্থানীয়দের একজন বলেন, আবহাওয়া ভালো না থাকার কারণে লোকজন আসছেনা। সে জন্যে আমাদেরকে এখন বসে থাকতে হচ্ছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের ফলে কক্সবাজারে সাগর উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। যার ফলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত কক্সবাজারে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
এদিকে প্রবল ঢেউয়ের কবলে পড়ে বুধবার সকালে সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট সংলগ্ন পয়েন্টে মাছধরার ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এতে বোটে থাকা ৮ জেলেকে উদ্ধার করেছে সৈকতের জেটস্কি চালকেরা।
তাদেরকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দূর্ঘটনার শিকার ফিশিংবোট আবুল কাসেম এ খবর জানিয়েছেন।
বিপদাপন্ন জেলেরা হলেন, সদরের খুরুশকুলের শফিক (৩৭), শাহাবুদ্দিন (৪৫), আবদুল গফুর (৫৬), আয়ূব আলী(৩৪), শহরের সিটি কলেজ এলাকার সেলিম (২৪), আয়াজ বাবুল (২০), জহির (৩৪) ও করিম উল্লাহ (৩৩)।
উদ্ধারকারী জেটস্কি চালক মো. আবছার মিয়া জানান, প্রবল ঢেউয়ের কবলে পড়ে বোটটি ডুবে যায়। তা দেখতে পেয়ে মো. আবছার মিয়া ও মো. হোসেন নামে দু’জন জেটস্কি চালক জেটস্কি নিয়ে ডুবে যাওয়া জেলেদের উদ্ধারে এগিয়ে যায়। ততক্ষণে ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি টিমও উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নেন। বেশ কিছুক্ষণ প্রচেষ্টা চালিয়ে বোটের ৮ জেলেকেই উদ্ধার করতে সক্ষম হন উদ্ধারকারীরা। উদ্ধার হওয়া জেলেদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হোসাইন মোঃ রায়হান কাজেমী জানান, বোটটি গভীর সাগরের মাছ ধরতে যাওয়া পথে ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। খবর সাথে সাথে ট্যুরিস্ট পুলিশের টিম ও দু’জন জেটস্কি চালক অভিযান চালিয়ে ডুবে যাওয়া জেলেদের উদ্ধার করেন। জেলেকে আশঙ্কাজনকভাবে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।