শাহীনশাহ, টেকনাফ ॥
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কেরুনতলী এলাকায় ডাম্পারের ধাক্কায় গুরুতর আহত ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সে উখিয়া উপজেলার পালংখালী বটতলী গ্রামের আব্দু সালামের ছেলে হাফেজ মোহাম্মদ তারেক (১৭)। ১৮ জুলাই রাত্রে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এ দূর্ঘটনায় কাটাখালী মাদ্রাসার নবম শেণীর দুই ছাত্রের প্রাণ গেল। মাদ্রাসা ও মরহুমদের নিজ এলাকায় শোকের মাতম বিরাজ করছে।
জানা যায়, প্রতিদিনের মতো কাটাখালী রওজাতুন্নবী (সঃ) দাখিল মাদ্রাসা থেকে ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার পথে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কেরুনতলী নামক স্থানে পৌঁছলে বিপরীতমূখী আসা টেকনাফগামী ডাম্পারের সাথে মোটর সাইকেল মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে মোটর সাইকেল আরোহী হোয়াইক্যং কাটাখালী রওজতুন্নবী (সাঃ) দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেনীর ছাত্র মোহাম্মদ সেলিমুর রশিদ (১৬) প্রকাশ বাদশা ঘটনাস্থলে মারা যান। নিহত মোহাম্মদ সেলিম উখিয়া উপজেলার পালংখালী বাদিতলা রশিদ সওদাগরের ছেলে। এঘটনায় গুরুতর আহত মোটর সাইকেলের অপর আরোহী হাফেজ মোহাম্মদ তারেককে আশংকাজনক অবস্থায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছিল। নিহত মোহাম্মদ সেলিম হোয়াইক্যং কাটাখালী রওজতুন্নবী (সাঃ) দাখিল মাদরাসার ছাত্র কেবিনেটের বর্তমান সভাপতি। তারেকও কেবিনেট নেতা ও একজন কোরআনি হাফেজ। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মৌঃ ছিদ্দিক আহমদ গেল কেবিনেট নির্র্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে বলেন, দু’ছাত্রই মেধাবী ছিল।
টেকনাফের হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশ ইনচার্জ জামাল হোসেন সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ডাম্পারটি জব্দ করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে মাদাসা ছাত্রদ্বয় নিহত হওয়ায় মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব হারুনর রশিদ সিকদার গভীর শোক প্রকাশ করে, শোক সন্তুপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।