হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:
ভোটার তালিকা হালনাগাদে রোহিঙ্গা অর্ন্তভুক্তির আশংকা দেখা দিয়েছে। টেকনাফের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রভাবশালী ইয়াবা গডফাদারদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে লোকালয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গাদের প্রশ্নবিদ্ধ বসবাস এলাকার সাধারণ মানুষ ও সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে। টেকনাফ উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে রোহিঙ্গাদের অবস্থানের জন্য নিবন্ধিত অনিবন্ধিত কয়েকটি ক্যাম্প বা বস্তি রয়েছে। উক্ত ক্যাম্প বা বস্তিতে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সেবা ও নিবিড় পরিচর্যার জন্য দেশি-বিদেশী এনজিও সংস্থা গুলো সরকারের এনজিও ব্যুরোর সাথে চুক্তিবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এতে উক্ত রোহিঙ্গারা দেশী-বিদেশী নানা সাহায্য সহায়তা পাচ্ছেন। এরপরও টেকনাফের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে এদের অবস্থানের হেতু কি, কারা এদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে বা কেন দিচ্ছে এ বিষয়টি নিয়ে সরকারের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ালে নিশ্চয় এর আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন।
তথ্যানুসন্ধানে গিয়ে বিভিন্ন এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে সীমান্ত উপজেলা উখিয়া-টেকনাফের চিহ্নিত কতিপয় প্রভাবশালী ইয়াবা গডফাদার যাদের নাম শুনলে প্রশাসনসহ সর্বমহলে শিহরন জাগে এসব কিছু ব্যক্তি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ইয়াবা ব্যবসার সফলতার সুবাদে তাদের পূর্ব পরিচিত ইয়াবার জোগানদাতা রোহিঙ্গা নাগরিকদের সম্প্রীতি কৌশলে এদেশে নিয়ে এসে তাদের নিজস্ব বাসা বাড়ী ও ভাড়া বাসাতে মাসিক চুক্তিতে রেখে তাদের মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে এখনও অব্যাহত ইয়াবার চালান এদেশে নিয়ে এসে দুই দিক দিয়ে লাভবান হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এসব রোহিঙ্গারা বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে এদেশে অবস্থান করে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রভাবশালী ইয়াবা গডফাদাররা স্ব স্ব এলাকায় বন বিভাগের জমিতেও এসব রোহিঙ্গাদের বাসা বাড়ী নির্মাণ করে দিয়ে সরকারী বনভূমি দখলের সুযোগ করে দিচ্ছে। প্রভাবশালী এসব ইয়াবা গডফাদারদের ছত্রছায়ায় থেকে এসব রোহিঙ্গারা দেশের সামাজিক পরিবেশ নষ্ট, বন ভূমি দখল, নানা সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত ও দেশীয় শ্রমিকদের বাজার দখলের পাশাপাশি এদেশের স্থায়ী বাসিন্দাদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক সৃষ্টি করার মধ্যদিয়ে নানান সুযোগ সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছে।
এছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী নেতাদের যোগসাজসে হালনাগাদ ভোটার তালিকায় অর্ন্তভূক্তির জন্য মোটা অংকের মাধ্যমে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আসন্ন ২৫ জুলাই শুরু হওয়া হালনাগাদ ভোটার তালিকায় নাম অর্ন্তভূক্তির জন্য ইতিমধ্যেই অনেক রোহিঙ্গা কোটিপতি দৌড়ঝাপ শুরু করে দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে কতিপয় দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি রয়েছেন। যারা টাকার বান্ডিল দেখলে আসল নকল সব ভুলে যায় এবং অতীতেও ভোটার তালিকায় এসব ব্যক্তির কারণে প্রকৃত রোহিঙ্গা নাগরিক ও ভোটার তালিকা অর্ন্তভূক্তির নজির অহরহ। যারা বর্তমানে টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে দালান বাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করছে এবং নিজেদের এদেশের জন্মসূত্রে নাগরিক দাবী করে সমাজে বিভিন্ন প্রভাব খাটাচ্ছে। এখনও টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় নব্য কোটিপতি রোহিঙ্গারা জমি ক্রয় করে দালান বাড়ী নির্মাণ করলেও তাতে প্রশাসনের কোন মাথা ব্যাথা দেখা যাচ্ছে না। তাই এসব বিষয় মাথায় রেখে উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন ও ভোটার আইডি কার্ডে নিয়োজিত সকল প্রশাসনকে এ ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রেখে রোহিঙ্গাদের বয়কট করার জন্য এলাকাবাসীর জোর দাবী উঠেছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।