বিশেষ প্রতিবেদক :

কক্সবাজারে পর্যটকদের সেবা নিশ্চিত করন ও পর্যটন শিল্পের সংকট নিরসন ও উন্নয়নে ২০ দফা দাবীতে এক সম্মিলিত সভা অনুষ্টিত হয়েছে।

সোমবার রাত ৮ টার দিকে কলাতলী সড়কের ডায়মন্ড রেস্তোরায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেষ্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি ওমর সোলতানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান। বিশেষ অতিথি’র মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক কাজী মোস্তাক আহম্মদ শামীম কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী। জেলা জাসদ লীগের সভাপতি নাইমুল হক চৌধুরী টুটুল, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, হোটেল-মোটেল গেষ্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেস সিকদার, হোটেল মোহেল গেষ্ট হাউস মালিক সমিতির অর্থ সম্পাদক শফিকুর রহমান কোম্পানী, কটেজ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কাজী রাসেল আহম্মদ নোবেল, পর্যটন উন্নয়ন কমিটির সমন্বয়ক (প্রস্তাবিত) সেলিম নেওয়াজ। আর উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার পর্যটন সেবী’র সকল সংগঠনের সদস্য বৃন্দ।

সম্মিলিত সভায় আনুষ্টানিকভাবে ২০ দফা দাবী ঘোষনা করেন কটেজ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কাজী রাসেল আহম্মদ নোবেল। এই ২০ দফা দাবী হল, ঢাকা-চট্টগ্রাম হতে আসা দূর পাল্লার বাস সমূহ পূর্বের ন্যায় হলিডের মোড় পর্যন্ত নামিয়ে দিয়ে যাওয়ার সময় পথে দন্ডায়মান যাত্রী উঠিয়ে নেওয়ার ব্যাবস্থা করণ। দক্ষ পর্যটককর্মী সৃষ্টির লক্ষে বীচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটির উদ্যোগে পর্যটন প্রশিক্ষন কেন্দ্র নির্মাণ ও কর্মশালা পরিচালনা করন। বীচ ম্যানেজম্যান কমিটিতে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অর্ন্তভূক্ত করন। পৌরসভা কর্তৃক পক্রিয়াদিন দরপত্রের কাজ দ্রুত শুরু করে মান সম্মতভাবে শেষ করা। পর্যটন সেবী সংগঠন সমূহের প্রতিনিধিকে পূর্বের ন্যায় আইন-শৃংখলা কমিটিসহ অন্যান্য কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করা। অত্র এলাকার খালি দুইটি মাঠে একটি গাড়ি পার্কিং, ফায়ারবিট, জরুরী চিকিৎসা কেন্দ্র নির্মান। পর্যটন কর্মীদের জন্য পৃথক আবাসন এলাকা মাষ্টার প্লান ভূক্ত করে স্বল্প ব্যয়ে গৃহ নিমার্ণের সুযোগ দান। হলিডে মোড় হতে কলাতলী চত্বর পর্যন্ত প্রধান সড়কের টমটম, রিক্সা, সিএনজি চলাচল বন্ধ করে অভ্যন্তরিন সড়ক দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করন। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পর্যন্ত সড়ককে চার লাইনে উন্নতি করন। কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইন, গ্যাস লাইন সম্প্রসারন। সুগন্ধা পয়েন্টের অনুরূপ সাংষ্কৃতিক কেন্দ্রের পাশ দিয়ে একটি সাগর সংযোগ সড়ক নির্মাণ। পর্যটনদের জন্য নাইট বাজার চালুকরন। যাতে ওষধসহ সকল জরুরী দ্রব্য এবং খাদ্য পানিয় থাকবে। ডায়বেটিক পয়েন্ট হতে লাবনী পর্যন্ত ঝাউবাগানকে রমনা পার্কের অনুরূপ পার্কে পরিণত করা। সোগাদিয়া দ্বীপকে বে-বীচ ঘোষনা করে পর্যটকদের যাতায়তসহ প্রয়োজনীয় করণীয় বিষয়াদি বাস্তবায়ন করা। টয়াক কর্মীদের পর্যটনস্থান ও স্থাপনার বৈশিষ্ট এবং ইতিহাস জ্ঞাত করণ। পর্যটন এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করণ। বাস্তব অবস্থা নিরিক্ষা করে এলাকার ড্রেইন, রাস্তা, কালবাড, প্রস্তাবিত ফুটপাত, ডাষ্টবিন, জলদ্বার ও লাইটিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করণ। পূর্বের ন্যায় কমিউনিটি পুলিশিং পুনর্বহাল। কক্সবাজার-চট্টগ্রাম সড়কে বিএরটিসি বাস বৃদ্ধি করণ। অত্র এলাকায় কর্মরত পর্যটন কর্মীদের সন্তানদের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম চাইন্ড কেয়ার সেন্টার নির্মাণ করণ।