বাংলাট্রিবিউন:
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কার অধীনে হবে-তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে রয়েছে নানা বিতর্ক। বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে ‘সহায়ক সরকারে’র অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছে। বিপরীতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, বর্তমান সরকারই ভোটের সময় ‘সহায়ক সরকারে’র ভূমিকা পালন করবে। আর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘কোনও সরকারের অধীনে নয়, সংবিধান অনুসারে ভোট হবে ইসির অধীনে।’ রবিবার (১৬ জুলাই) প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কে নূরুল হুদাও বলেছেন, ‘সরকার কী হবে সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। নির্বাচনের সময় প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ থাকবে আমাদের হাতে।’
নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতির পাশাপাশি কবে ভোটগ্রহণ হবে-তা নিয়েও ব্যাপক আলোচনা রয়েছে। সংবিধানে সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে দু’টি সময়ের কথা বলা রয়েছে। এর একটি হলো- সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে। দ্বিতীয়টি হলো- মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে সংসদ ভেঙে গেলে এর পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে হবে ভোট। সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদ গণনা শুরু হয় এর প্রথম বৈঠক থেকেই। এ হিসেবে ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। অবশ্য পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সংসদ ভেঙে কিছুটা আগে নির্বাচনের বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। তবে তা হবে কিনা বা হলে কবে হবে তা নির্ভর করছে সরকারি দলের সিদ্ধান্তের ওপর। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর চলতি দশম সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছিল ২৯ জানুয়ারি।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। ২০১৯ সালের জানুয়ারির প্রথম দিকে অথবা ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের শেষদিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
সংবিধান পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংবিধানে অন্তর্বর্তী বা নির্বাচনকালীন সরকার বলে কিছু নেই। সহায়ক বা সর্বদলীয় সরকারের বিষয়টিও নেই। জাতীয় সংসদসহ অন্যান্য নির্বাচন কোনও সরকারের অধীনে হওয়ার কথাও বলেনি সংবিধান। বরং বলা হয়েছে, নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের সময় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ইসির কাছে ন্যস্ত হবে এমনটাও স্পষ্ট বলা নেই। এ বিষয়ে সংবিধানে বলা আছে, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতি প্রয়োজনীয় কর্মচারী নিযুক্ত করবেন। সরকারের নির্বাহী বিভাগ ইসিকে দায়িত্ব পালনে সহায়তা করবে। সংবিধানের এই দুই বিধানের আলোকে সরকারের ইসিকে সহযোগিতা করা ও নির্বাচনকালে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ইসির পরামর্শ নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতা জানান, বর্তমান দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালে ‘সর্বদলীয় সরকার’ গঠন করা হলেও এটির কোনও প্রয়োজন ছিল না। সব রাজনৈতিক দল যাতে নির্বাচনে অংশ নেয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছায় ওই সরকার গঠিত হয়েছিল। সংবিধানে না থাকলেও ওই সরকার ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাব দিলেও ওই সময় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী বিএনপি সর্বদলীয় সরকারে যোগ দেয়নি। দলটি শেষ পর্যন্ত দশম সংসদ নির্বাচনও বর্জন করে।
সংবিধানের বিধান অনুসারে বিদ্যমান সরকার ক্ষমতায় থাকতেই পরবর্তী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে গেলেও সরকারের ওপর তার প্রভাব পড়বে না। সংবিধানের ৫৭ (৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে স্বীয় পদে বহাল থাকিতে এই অনুচ্ছেদের কোন কিছুই অযোগ্য করিবে না।’ সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর অর্থ হচ্ছে যিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন, তিনি নতুন একজন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত স্বপদে বহাল থাকবেন। অর্থাৎ এ বিধান অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বপদে বহাল রেখেই নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করবে। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি তার সরকারের মন্ত্রিসভার ক্ষেত্রেও সংবিধানের বিধান একই। সংবিধানের ৫৮(৪) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করিলে বা স্বীয় পদে বহাল না থাকিলে মন্ত্রীদের প্রত্যেকে পদত্যাগ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে; তবে এই পরিচ্ছেদের বিধানাবলী-সাপেক্ষে তাহাদের উত্তরাধিকারীগণ কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাহারা স্ব স্ব পদে বহাল থাকিবেন।’
সংসদ নির্বাচন বিষয়ে যা আছে সংবিধানে:
সংবিধানে সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে দুই ধরনের বিধান রয়েছে। এর একটি হচ্ছে চলমান সংসদের মেয়াদ অবসানের ক্ষেত্রে এবং অন্যটি মেয়াদপূর্তির আগেই সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে। সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে- (ক) মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভাংগিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাংগিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নব্বই দিনের মধ্যে; এবং (খ) মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোন কারণে সংসদ ভাংগিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাংগিয়া যাইবার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে।’
সংবিধানের এই বিধান মতে বর্তমান দশম সংসদের মেয়াদপূর্ণ করলে ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে যেকোন দিন ভোট হবে। তবে, নির্বাচন কমিশন সূত্র ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ভোট হতে পারে। এদিকে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বা তার আগে যেকোন সময় সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া হলে ওই ভেঙ্গে দেওয়ার দিন থেকে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে। সে ক্ষেত্রে ডিসেম্বরের তৃতীয় কিংবা শেষ সপ্তাহে ভোট হতে পারে।
সংসদের মেয়াদকালের বিষয়ে সংবিধানের ৭২ (৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ’রাষ্ট্রপতি ভাঙ্গিয়া না দিয়ে থাকিলে প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে পাঁচ বৎসর অতিবাহিত হইলে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবে। চলতি দশম সংসদের প্রথম বৈঠক বসেছিল ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। এই হিসেবে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি শেষ হবে এই সংসদের মেয়াদ।
এখানে উল্লেখ্য, সংসদের দুটি অধিবেশনের মধ্যবর্তী বিরতি ৬০ দিনের বেশি না হওয়ার বিধান থাকলেও নির্বাচনকালীন সময়ের নব্বই দিনের মধ্যে সংসদের অধিবেশন বসবে না বলে সংবিধানে বলা রয়েছে।
কার অধীনে ভোট?
সংবিধানের ১১৮ (৪) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকিবে এবং কেবল এই সংবিধান ও আইনের অধীন হইবে।’ এছাড়া, ১১৯ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত থাকবে। সংবিধান ও আইন অনুযায়ী ইসি সংসদ সদস্যদের নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে।
সংবিধানের ১২০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব পালনের জন্য যেরূপ কর্মচারীর প্রয়োজন হইবে, নির্বাচন কমিশন অনুরোধ করিলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনকে সেইরূপ কর্মচারী প্রদানের ব্যবস্থা করিবেন।’ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাহী বিভাগের সহযোগিতার বিষয়ে সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হইবে।’ সংবিধানের এই সহযোগিতা বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।
সংশ্লিষ্টরা যা বললেন
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সংবিধানে সহায়ক সরকার বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনও বিধান নেই। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায়ও এ ধরনের কোনও বিধান আছে বলে আমার জানা নেই। সংবিধানে বলা আছে, নির্বাচন কোনও সরকারের নয়, নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের অপরিসীম ক্ষমতা রয়েছে। আর ভোটের সময় বর্তমান সরকারই থাকবে। সরকার ভোটের জন্য কর্মকর্তা নিয়োগসহ কমিশন যা চাইবে তা করতে বাধ্য থাকবে।’
দশম সংসদ নির্বাচনের মতো এবারও সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রয়োজন হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘ওই নির্বাচনে যাতে বিএনপি আসে- সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বদলীয় সরকার গঠনের কথা বলেছিলেন। এজন্য আমরা কয়েকজন পদত্যাগও করি। তবে, এবার এ ধরনের সরকারের কোনও প্রয়োজন হবে না। আর যাদের নিয়ে ওই সর্বদলীয় সরকার গঠন হয়েছিল, তাদের প্রতিনিধি তো বর্তমান সরকারে রয়েছেনই।’ ভোটের আগে টেকনোক্র্যাট কোটার মন্ত্রীদেরও পদত্যাগের প্রয়োজন হবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সরকার যেভাবে রয়েছে সেভাবেই চলবে। তাদের অতিরিক্তি দায়িত্ব থাকবে ইসিকে সহযোগিতা করা।’
নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নির্বাচনের সময় সরকার কেমন হবে সেটা নিয়ে কমিশনের মাথাব্যথা নেই। কমিশনের কাজ হবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা আর নির্বাচনের সময় সরকার কমিশনকে তার চাহিদা অনুযায়ী সহযোগিতা করতে বাধ্য থাকবে।’
সরকার সহযোগিতা না করলে ইসির কোনও করণীয় থাকবে কিনা- জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘সহযোগিতার কথাটি সংবিধানে বলা হয়েছে। তার অর্থ এটা অপশনাল নয়, ম্যান্ডেটরি। এ হিসেবে নির্বাচনে সহযোগিতা করা নির্বাহী বিভাগের অবশ্যই করণীয়। এক্ষেত্রে গোষ্ঠীগতভাবে না হলেও নির্বাহী বিভাগের কোনও ব্যক্তি যদি কমিশনের নির্দেশনা না মানেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।’
নির্বাচন কবে হতে পারে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘রোডম্যাপে তারা ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির সময়কালকে ভোটের সময় বিবেচনা করছেন। এর মধ্যে উপযুক্ত সময় নির্ধারণ করে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।’ সংসদ ভাঙা বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘সংসদ ভাঙা তো কমিশনের বিষয় নয়, সরকারের বিষয়। সে ধরনের কিছু হলে ভোটের তারিখও সেভাবে নির্ধারিত হবে।’
সিইসি যা বললেন
ভোট কবে হবে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোট কবে হবে- তা সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। সংসদ যদি ডিজলভড না হয়, তাহলে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের নব্বই দিনের মধ্যে ভোট হবে। আর প্রধানমন্ত্রী যদি আজকে রাষ্ট্রপতিকে সংসদ ভেঙে দিতে বলেন, তাহলে আগামীকাল থেকেই ভোটের দিন গণনা শুরু হবে এবং কাল থেকে নব্বই দিনের মধ্যে আমাদের ভোট করতে হবে।’
নির্বাচনের সময়ের সরকার বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘সরকার কী হবে সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। নির্বাচনের সময় প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ থাকবে আমাদের হাতে। তফসিল ঘোষণা থেকে শুরু করে নির্বাচনের পর ১৫ দিন পর্যন্ত সেনাবাহিনীসহ প্রশাসনের সব স্তরের পদায়ন ও বদলি ইসির হাতে থাকবে। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনি প্রচারণায় কেউ ব্যঘাত ঘটালে বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-আরপিওতে এই বিষয়ে সুস্পষ্ট করে বলা আছে।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।