টুয়াক’র বর্ণাঢ্য ঈদ পুনর্মিলনী, বিশিষ্টজনদের মিলনমেলা

প্রকাশ: ১৬ জুলাই, ২০১৭ ০৮:৩৭ , আপডেট: ১৬ জুলাই, ২০১৭ ১০:২২

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান।
নিজস্ব প্রতিবেদক: 
ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) এর বর্ণাঢ্য ঈদ পূনর্মিলনী সম্পন্ন হয়েছে। ১৫ জুলাই কক্সবাজার সাংস্কৃতি কেন্দ্রে এই ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। ঈদ পূনর্মিলনী উপলক্ষ্যে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠান। উৎসবমুখর আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মুহাম্মদ আলী জিন্নাত, হোটেল দি কক্স টু ডে এর ডিরেক্টর অপারেশন সাখাওয়াত হোসেন, পর্যটন মোটেল লাবনীর ব্যবস্থাপক রাশেদুল ইসলামসহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে অতিথিরা বলেন, পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারের একটি বৃহৎ অংশ টুয়াক। টুয়াক ছাড়া কক্সবাজারের দ্রুত পরিচিত প্রসার ঘটানো সম্ভব হত না। কক্সবাজারের পর্যটন সেবায় টুয়াকও সাড়া জাগানো সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। এই সংগঠনের মাধ্যমে কক্সবাজারের পর্যটন সম্ভাবনা দিন দিন বাড়ছে। পর্যটকেরা টুয়াকের মাধ্যমে পর্যটন সেবা নিয়ে তাদের ভ্রমণ আনন্দ পরিপূর্ণ করতে পারছে। ভবিষ্যতেও এই অগ্রযাত্রা ধরে রেখে অনেক দূর এগিয়ে যাবে টুয়াক।
ঈদ পুনর্মিলনী উপলক্ষ্যে ১০০ জন পথশিশুকে খাবার বিতরণ করেছে টুয়াক। অন্যদিকে অতিথি ও সদস্যদের সম্মানে আয়োজন করা হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রাত ৯টায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন কক্সবাজারের কয়েকজন নামকরা শিল্পী। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যাফেল ড্র’তে কুপন জিতে অনেকে দামী পুরস্কার জিতেছেন। অনুষ্ঠানের পর অতিথিসহ সবার জন্য নৈশ্যভোজের আয়োজন করা হয়। সব মিলে এক বর্ণাঢ্য ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উপহার দিয়েছে টুয়াক।
অনুষ্ঠানগুলোতে সভাপতিত্ব করেন টুয়াকের আহ্বায়ক এম.এ হাসিব বাদল এবং পৃষ্টপোষকতা করেন বে অব বেঙ্গল গ্রুপ ট্যুরিজমের এমডি এবং যুগ্ন সমন্বয়ক তোফায়েল আহম্মেদ । সমন্বয়কারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শাহেদুল ইসলাম শাহেদ, দিদার হোসাইন।
আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কামরুল ইসলাম, ছৈয়দুল হক কোম্পানী, আনোয়ার কামাল আনু, আবু হেনা মোস্তফা শাহজাহান, আল আমিন বিশ্বাস তুষার ইফতেকার চৌধুরী, এস. এ কাজল, ও হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর।
সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এম. সাদেক লাবু, বোরহান উদ্দিন, আসাফ উদ্ দৌলা (আশেক), শাহনেওয়াজ গুংগু, মোহাম্মদ আরিফ, মোঃ হাবিব উল্লাহ, জিয়াউর রহমান, কামাল হোসেন খোকন, এস এম শাহ্ আলম, নাসিরুল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম তোহা, সাইফুল আলম, এম. এ মতিন, রফিকুল ইসলাম, শহিদুল্লাহ নাঈম, মোহাম্মদ ফাহাদ, মো: দিদার হোসাইন, মোহাম্মদ সেলিম, মনিবুর রহমান টিটু, আবুল মনসুর (মোঃ নূর), মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী, মোঃ ফারুক আজম, মোঃ আসলাম খাঁন, আবুল কালাম, আবদুচ সাত্তার, মোঃ মুকিম খাঁন, রাসেল ভুইঁয়া, ছেবর আলম, মাহবুব হোসাইন সুমন, নাছির উদ্দিন, মোঃ পারভেজ সিকদার, মোহাম্মদ তাহের, মোঃ খোরশেদ আলম, মোঃ সাইফুল ইসলাম, ইয়াছির আরফাত, মোহাম্মদ জনি, মোহাম্মদ রিয়াদ, শফিউল আলম শফি, রিদুয়ান সাঈদী বিপু, মোঃ আবুল কালাম, মোঃ হাফিজ উদ-দৌল্লাহ্, মোঃ জাহিদ, মোঃ শফিকুর রহমান প্রমুখ।
ঈদ পুনর্মিলনীতে মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান ও সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিককে টুয়াকের উপদেষ্টার প্রস্তাব করা হলে তারা উক্ত প্রস্তাব সাদরে গ্রহণ করেন। উপদেষ্টাগণ সব সময় টুয়াকের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।