এহসান আল-কুতুবী, চট্টগ্রাম থেকে:
কুতুবদিয়া সমিতি চট্টগ্রাম’র মানববন্ধন পরবর্তি সংবাদ সম্মেলনে বক্তাগন অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন সময়ে সরকার কোটি কোটি টাকার বরাদ্দ দিলেও কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও দূর্নীতিবাজ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কারণে কুতুবদিয়া আজ বিরাণভূমিতে পরিণত হয়েছে । তারা অতীতের লুটপাতের সুষ্ট তদন্তপূর্বক দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্থাগ্রহণ করার দাবী জানান ।
শনিবার ( ১৫ জুলাই) সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে বেড়িবাঁধ নিমার্ণের দাবিতে চট্টগ্রামস্থ কুতুবদিয়া সমিতির উদ্দ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে মানববন্ধন পরবর্তি সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ কথা বলেন ।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সমিতির সাধারন সম্পাদক মুজিবুল হক ছিদ্দিকী বাচ্চু। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সমিতির প্রদান উপদেষ্টা শফিউল আলম, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামাল হোসাইন ও সমিতির সভাপতি ডা. এ. কে. এম ফজলুল হক।
বক্তারা বলেন, লবন, চিংড়ী ও মৎস উৎপাদন এবং পর্যটনের প্রধান অঞ্চলসহ দক্ষিন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে রক্ষা করতে হলে কুতুবদিয়া কে অস্তিত্বের সংকট থেকে রক্ষা করতে হবে। কুতুবদিয়া দ্বীপ সমুদ্র গর্বে বিলীন হয়ে গেলে সমুদ্রের আঘাত এসে পড়বে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালী, কক্সবাজারের পেকুয়া ও মহেশখালীর ওপর। সুতরাং জাতীয় স্বার্থে কুতুবদিয়াকে রক্ষা করতে হবে। অন্যথায় দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক জোন খ্যাত চট্টগ্রাম দক্ষিনাঞ্চল সহ পুরো কক্সবাজার চরম হুমকীর মধ্যে পড়বে।
লিখিত বক্তব্যে বক্তাগণ আরোও বলেন, ৯৭ বর্গমালের কুতুবদিয়া সমুদ্রের অব্যাহত ভাঙ্গনের কারণে আজ ২৭ বর্গমাইলে এসে দাঁড়িয়েছে। চলতি অর্থ বছরে একনেক-এ বরাদ্দকৃত টাকা সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে বেড়িবাঁধ নিমার্ণের দাবী জানাচ্ছি ।
সাংবাদিক সম্মেলনের পূর্বে প্রেস ক্লাবের সম্মুখে বিশাল এক মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। সমিতির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক আকবর খাঁনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমিতি উপদেষ্টা শাহাজাদা মান্নান, মোজাম্মেল হক উপদেষ্টা এস, এইচ মোক্তার আহমদ, সহসভাপতি মোহাম্মদ শরীফ, প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক মামুন এলাহী, যুগ্ন সম্পাদক, ইসমাইল খান, কুতুবদিয়া সমিতি কক্সবাজার এর সেক্রেটারী হুমায়ন সিকদার, বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, কাইমুল ইসমাইল প্রমুখ।
বক্তারা আরোও বলেন, আমরা কারো করুনা চাইনা, ত্রানের দরকার নাই, আমরা চাই টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে দ্বীপের অবশিষ্ট ভূমি, মসজিদ-মন্দির, স্কুল, কলেজ, বাড়িঘর রক্ষা করা হউক। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পরে বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকার সাহায্য আসলে ওই টাকায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের রাস্তা নির্মাণসহ সাইক্লোন সেন্টার করা হয়েছে রামুর পাহাড়ে। অথচ কুতুবদিয়ার জন্য আসা সাহায্য দ্বীপের জন্য যথাযথ ব্যবহার না করার কারণে কুতুবদিয়ার মানুষকে বর্তমানে বসবাস করতে হচ্ছে জোয়ার-ভাটার দোলাচলে থেকে কুতুবদিয়া বাসীকে বাঁচাতে হবে।
তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী জানাচ্ছি অবিলম্বে কক্সবাজারের মেরনি ড্রাইভ এর আদলে কুতুবদিয়ার চারর্পাশে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বেড়িবাঁধ কাম চলাচলের রোড নির্মাণ করা হইক। এ বেড়িবাঁধের নিরাপত্তার জন্য উপকূলীয় বনবিভাগের মাধ্যমে প্যারাবন সৃজন করা হউক।
কুতুবদিয়া বাঁচান
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।