অনলাইন ডেস্ক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পুলিশকে ‘খরচাপাতি’ তথা ঘুষ না দেয়ায় এক জীবিত বিএনপি নেতাকে মৃত দেখিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ।

এর ফলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স না পেয়ে হজযাত্রা অনিশ্চিত হয়ে গেছে ওই বিএনপি নেতার।

নিরুপায় হয়ে কয়েকবার থানায় গিয়ে ধর্ণা দিয়ে পুলিশের মন গলাতে না পেরে উচ্চ আদালতে রিট করেছেন তিনি।

ভুক্তভোগীর নাম মো. আজাদ হোসেন ভূইয়া। তিনি আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের বড়কুড়িপাইকা গ্রামের মৃত সাত্তার ভূইয়ার পুত্র।

এ বছর হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজাদ। তার পাসপোর্ট নম্বর-বিএন০১১৮০২১, হজের পিআইডি নম্বর Ñ০০৮০২৭২।

আজাদ হোসেন ভূঁইয়া যুগান্তরকে বলেন, আখাউড়া থানার তৎকালীন এসআই (বর্তমানে কুমিল্লার দাউদকান্দি মডেল থানায় কর্মরত) আবুল কালাম ফোন দিয়ে তাকে থানায় যেতে বলেন।কিন্তু জরুরি কাজে ঢাকায় ব্যস্ত থাকায় এসআই আবুল কালামের সঙ্গে তিনি দেখা করতে পারেননি।

বিএনপি নেতার অভিযোগ, কয়েকদিন পর এসআই কালাম ফের মোবাইলফোনে তাকে জানান হজে যাওয়ার নিবন্ধনের জন্য পুলিশ প্রতিবেদন দিতে হবে। তাকে থানায় দেখা করে কিছু ‘খরচাপাতি’ দিতে বলেন তিনি।

হজের কাজে ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। এ সময় এসআই বলেন, আপনার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে তাই ‘খরচাপাতি’ দিতে হবে।

জবাবে আজাদ বলেন, সব মামলা থেকে আমি জামিনে রয়েছি, ‘খরচাপাতি’ দেয়ার কী আছে। তিনি খরচ ছাড়াই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিতে এসআইকে বলেন।

এতে এসআই কালাম ক্ষিপ্ত হয়ে ‘খরচাপাতি না দিলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দেয়া যাবে না’ বলে ফোনকলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

আজাদ বলেন, পরে তিনি জানতে পারেন তাকে মৃত (ইন্তেকাল) দেখিয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন এসআই আবুল কালাম।

এ প্রতিবেদনের ফলে এ বছর তার হজে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় খুবই ব্যথিত হয়েছেন বলে জানান তিনি।

এদিকে অভিযোগের ব্যাপারে অভিযুক্ত এসআই আবুল কালামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আজাদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের বিষয়টি আসলে কম্পিউটারের ভুল।

তিনি বলেন, কম্পিউটার ভুল করতেই পারে। তবে পরে ভুল সংশোধন করে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া আজাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন এসআই।

– যুগান্তর