এম জাহাঙ্গীর নেওয়াজ রাউজান :

চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়ক খানা খন্দকের কারনে শোচনীয় অবস্থা বিরাজ করছে। একদিকে ওয়াসার লাইনের কাজ অন্যদিকে সড়ক ক্ষত বিক্ষত অবস্থার কারণে দুর্ঘটনার ঝুকি মাথায় নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। চট্টগ্রামের অত্যধিক জনবহুল এই সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে পড়ায় বর্ষার পানি জমে দূর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে সাধারণ মানুষসহ পথচারিদের। বর্তমানে কাপ্তাই সড়কের অবস্থা এতই নাজুক যে এই সড়কে চলাচলকারী ছাড়া দূর্ভোগের যন্ত্রণা বিশ্বাস করা যাবেনা। কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে মদুনাঘাট পর্যন্ত দীর্ঘ এই সড়কে ওয়াসার পাইপ লাইনের খোড়াখুড়ির কারণে সড়কের একটি পাশ্বের বিটুমিন র্কাপেটিং কেটে  ইট বিছানোর ফলে অনেকটা নষ্ট হয়ে গেছে। আরেক পার্শ্বে যানবাহনের চাপে র্কাপেটিং উঠে গিয়ে ছোট বড় অসংখ্য গর্তে পানি জমে দুর্ঘটনাসহ সীমাহীন জনদূর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে।

এছাড়াও রাউজান অংশে নোয়াপাড়া পথেরহাট , ব্রাক্ষণ হাট,ধরেরটেক মামদজমা , গশ্চি নয়াহাট , দমদমা, পাহাড়তলী পর্যন্ত অনেক অংশে র্কাপেটিং উঠে গিয়ে র্গতের সৃষ্টি হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজারও শিক্ষার্থী ও শিক্ষক, নোয়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী ,ঈমাম র্গাজালী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী ,কাপ্তাই রাস্তার মাথা সিডিএ র্গাল্স স্কুল এণ্ড কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী ,বহু স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থী , ব্যাংক বীমা অসংখ্য চাকুরী জীবি ব্যবসায়ী সহ লক্ষ লক্ষ মানুষ জিবিকার সন্ধানে ছুটে চলে দুর্ঘটনার ঝুকি মাথায় নিয়ে শহর বন্দর সহ নানা স্থানে। এই সড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার সিএনজি অটোরিক্সা শিক্ষার্থী বহনকারী বাস রোগী বহণ কারী এ্যম্বুলেন্স সহ অসখ্য গাড়ী কাপ্তাই রাঙ্গামাটি পার্বত্য এলাকায় যাতায়াত করে । এই জন গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির অধিকাংশ শোচনীয় অবস্থার কারনে চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে মানুষ। এই সড়কে চলাচল কারী চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে এই প্রতিবেদককে বলেন, কাপ্তাই সড়কদিয়ে রাঙ্গুনিয়ার সাবেক মন্ত্রি হাসান মাহামুদ সহ কত এমপি চলাচল করে তাদেরকি এই সড়কের অবস্থা চোখে পড়েনা অামাদেরতো আর এই অবস্থার মধ্যদিয়ে চলাচল করতে মন চায়না ।  অনেকটা বাধ্য হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ওয়াসার পাইপ লাইনের খোড়া খুড়ির কারণে সম্প্রতি এই সড়কের নিত্য যানজটের কারনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কেই অবস্থান করতে হতো । এখন সড়ক ক্ষত বিক্ষত অবস্থার কারণে দুর্ঘটনার ঝুকি মাথায় নিয়ে যাতায়ত করতে হয়।

কাপ্তাই রাস্তার মাথা সিডিএ র্গাল্স স্কুল এণ্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, নোয়াপাড়া থেকে প্রতিদিন ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে হয় কিন্তু কাপ্তাই সড়কের দুর্অবস্থার কারনে ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাটাতে মন চাইনা তারপরও আল্লাহর উপর অর্পন করে ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাটাই। এই সড়কে হাজার হাজার সিএনজি অটোরিক্সা চলে এসব সিএনজি অটোরিক্সা চালকদের অনেকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই এসব অনভিজ্ঞগ চালকদের কারনে র্দূঘটনার ঝুকি থাকেবেশী এরি মাঝে সড়কের যে অবস্থা তাএক মাত্র যাতায়ত কারী ব্যক্তি ছাড়া কেউ বুঝবেনা।কাপ্তাই সড়কের এই দূর্অবস্থা থেকে উত্তরণে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের জরুরী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন সড়কে যাতায়ত কারী সাধারণ মানুষসহ শিক্ষার্থীর অভিভাবক।