শফিক আজাদ,উখিয়া :
উখিয়া উপজেলার ক্রাইমজোন নামে খ্যাত পালংখালী ইউনিয়নের ফারিরবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রেহেনা আক্তার যুবলীগ নেতার ফয়েজুল ইসলামের হাতে লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার থানা ও উপজেলা প্রশাসন বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এ নিয়ে বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে ভারপ্রাপ্ত এই প্রধান শিক্ষিকা। এছাড়াও স্কুলের ছাত্র/ছাত্রী ও অন্যান্য শিক্ষক/শিক্ষিকাদের মধ্যে বিরাজ করছে অজানা আতংক।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রেহেনা আক্তার বলেন, একটি তুচ্ছ ঘটনাকে ক্ষেত্রে পালংখালী ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ফয়েজুল ইসলাম স্কুলের অফিস কক্ষে প্রবেশ করে অবৈধ অস্ত্র উঠিয়ে আমাকে হুমকি প্রদর্শন করে ও আমার ব্যবহৃত স্মাট ফোনটি হাত থেকে কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে তচনচ করে ফেলে এবং আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালি গালাচ করে চরম ভাবে লাঞ্চিত করে। পরে বিষয়টি আমি উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা শিক্ষা অফিসে অবহিত করিলে উপজেলা শিক্ষা অফিস কর্তৃক শিক্ষকদের সমিতির নেতৃবৃন্দদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে মিমাংশা চেষ্টা করে। এক ধরনের মিমাংশা হয়ে যায় ঘটনাটি। কিন্তু যার পরের দিন ফয়েজুল ইসলাম তার নিজস্ব ফেইসবুক আইডি থেকে আমার বিরুদ্ধে একটি মানহানীকর স্ট্যাটার্স দেন। যাহা শিক্ষক,ছাত্র, সর্বোপরী সুশীল সমাজের দৃষ্টি আর্কষণ হয়।
এ নিয়ে অভিযুক্ত ফয়েজুল ইসলামের সাথে কথা বলার জন্য একাধিক বার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। অপরদিকে এই স্ট্যাটাসের জের ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রেহেনা আক্তার থানা, উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা শিক্ষা অফিসে পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন বলেন, একজন শিক্ষকের প্রতি সবার শ্রদ্ধাবোধ থাকা দরকার। সংঘঠিত ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ অভিযোগটি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য থানা অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের বলেন, সংঘঠিত ঘটনা সম্পর্কে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা রেহেনা আক্তার। যাহা নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজুর প্রক্রিয়া চলছে।