জসিম উদ্দিন টিপু, টেকনাফ:

টেকনাফে ইয়াবার ‘বড় এক চালান’ আত্মসাতকে কেন্দ্র করে এলকাজুড়ে তোলপাড় চলছে। এঘটনাকে কেন্দ্র করে চালান আত্মসাতকারী এবং মালিক সিন্ডিকেটের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় সুত্র জানায়, ১১ জুলাই রাতে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। নাফনদী পাড়ি দিয়ে ইয়াবা ভর্তি বস্তা নিয়ে উপকূলে পৌঁছলে আগে থেকে উৎপেতে থাকা ছদ্মবেশী জেলে চিহ্নিত ইয়াবা পাচারকারী লেদা কুব্বাস পাড়া এলাকার রশিদ আহমদের পুত্র মো: সলিম, নূরালী পাড়া এলাকার মোহাম্মদ হোছন ওরফে লেং হোছনের পুত্র জাফর আলম, শিয়ালঘোনা এলাকার নুর আহমদের পুত্র সরওয়ার কামাল, পূর্ব লেদা এলাকার আবুল কাসিমের পুত্র শামসুল আলম, কুব্বাছ মিয়ার পুত্র ফোরকান ইয়াবার চালান বহনকারী রোহিঙ্গাদের ব্যাপক মারধর করে বস্তাটি লুট করে নিয়ে যায়। লোকজন কিছু বুঝে উঠার আগেই ইয়াবার চালান আত্মসাতকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। চালান লুটের পর জেলের ছদ্মবেশে ইয়াবা পাচারকারীরা আত্মগোপনে চলে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, লুট করা বস্তায় ১০ কার্ড ইয়াবা ছিল। ঐ চালানটি পশ্চিম লেদা এলাকার মাষ্টার হাফেজ আহমদ প্রকাশ কালা মিয়া মাষ্টারের পুত্র শাহীন, হাজী আবুল কাশেমের পুত্র আব্দুর রহমান, পূর্ব লেদা এলাকার মৌলভী আমির হোছনের পুত্র লবণ ব্যবসায়ী গাফফার, আবুল কাসিমের পুত্র মোহাম্মদ আলম সিন্ডিকেটের কাছে আসছিল। ঘটনার পর পরই চালান আত্মসাতকারী এবং মালিক সিন্ডিকেটের মধ্যে বেশ কয়েকবার বাকবিতন্ডা হয়েছে।

লোকজন বলছেন, ইয়াবার চালান মেরে দেওয়া কেন্দ্র করে যে কোন মুহুর্তে উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, আসলেই কিছু বললেই সমস্যা। এধরণের ঘটনা প্রায় ঘটছে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মাঈন উদ্দিন খাঁন জানান, লোকজন মারফত বিষয়টি কেবল শুনলাম। আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাচ্ছি। ইয়াবা পাচারকারী-মজুদকারী এবং বহনকারীসহ এ সংক্রান্তে সহযোগীতাকারী যেই হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।