শেফাইল উদ্দিন, ঈদগাঁও
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের বন্যা কবলিত বঙ্গবন্ধু পাড়া হিসাবে পরিচিত লালচড়িয়া পাড়ায় প্রায় ৫দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও কোন ত্রাণ সামগ্রী পৌছেনি বলে জানিয়েছে এলাকার লোকজন। এ বন্যা কবলিত গ্রামের লোকজন এখনো পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে বলে জানা গেছে। জানা যায়, ঈদগাঁও ইউনিয়নের লালচড়িয়া পাড়া গ্রামটি বঙ্গবন্ধু পাড়া হিসাবে পরিচিত। কালিরছড়া বাজারের পশ্চিম পাশের্^ নদীর চরেই অবস্থিত এ গ্রামটি। এ গ্রামে প্রায় ২৫/৩০ টি পরিবারের বসবাস। বন্যার সময় নদীর পাশর্^বর্তী হওয়ায় সমস্ত গ্রামের ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। পানিবন্দী হয়ে পড়ে হাজারো লোকজন। বন্যার পানির স্রোতে ভেঙ্গে যায় যাতায়াতের সড়ক-উপসড়ক ও ঘরবাড়ি। এসব এলাকার লোকজন এখনো মানবেতর জীবন যাপন করছে বলে জানান এলাকার লোকজন। দীর্ঘ ৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও এ গ্রামে সরকারী-বেসরকারী সংস্থা কিংবা কোন জনপ্রতিনিধি উক্ত এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনের সাহায্য সহযোগিতায় এগিয়ে আসেনি এবং পৌছায়নি কোন ত্রাণ সামগ্রী। এলাকাবাসী এ বন্যা কবলিত এলাকার ত্রাণ সামগ্রী পৌছানো এবং তাদের সহযোগিতার আকুল আবেদন জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে। এ ব্যাপারে অত্র ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুর আহমদ জানান, আমাদের গ্রাম বঙ্গবন্ধু পাড়া হিসাবে পরিচিত। আমাদের এমপি মহোদয় ও বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনদের মাঝে ত্রাণ দেওয়ার খবর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় দেখতে পাচ্ছি। আমাদের এলাকায় কেউ ত্রাণ সামগ্রী ও সাহায্য-সহযোগিতা করেনি। আমাদের দরিদ্র গ্রামের লোকজনের অবস্থা খুবই খারাপ। এ ব্যাপারে ঈদগাঁও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাজী ছৈয়দ আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে লালচড়িয়া পাড়ায় পরিষদের পক্ষ থেকে মহিলা মেম্বারকে চাউল দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। বন্যা কবলিত এলাকাবাসী ত্রাণ সামগ্রী ও সাহায্য সহযোগিতা পেতে এমপি মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
বন্যা কবলিত বঙ্গবন্ধুপাড়া ত্রাণ বঞ্চিত
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে