আবদুল মজিদ ,চকরিয়া :
চকরিয়া উপজেলার সওদাগরঘোনা ও চরণদ্বীপ চিংড়ি জোনের সশস্ত্র ডাকাত-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি দায়েরকৃত নুরুল আমিন হত্যা মামলার অভিযুক্তরা বাদীর বসতঘরে হত্যা মামলা প্রত্যাহার করতে বাদীর বাড়িতে ২০রাউন্ড গুলি ছুড়ে ভাংচুর, তান্ডব ও লুটপাট চালানোর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ৮জুলাই সকাল ৮টার দিকে উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা চারাবটতলী পোকপাড়া এলাকায় ঘটেছে এঘটনা। এনিয়ে নুরুল আমিন হত্যা মামলার বাদী নিহতের মা জাহেদা বেগম বাদী হয়ে নতুন করে ৩১জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৪/১৫জনের বিরুদ্ধে গতকাল রাতে লিখিত এজাহার দিয়েছেন।
অভিযোগে জানাগেছে, অভিযুক্ত ডাকাত-সন্ত্রাসীরা নুরুল আমিনকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। এনিয়ে নিহতের মা বাদী হয়ে চলতি সনের ৬জুন চকরিয়া থানায় হত্যা মামলা নং ২২ (জিআর ৩১৪/১৭)দায়ের করেন। ওই হত্যা মামলা প্রত্যাহার করে নিতে সন্ত্রাসী আসামীরা তার বাড়িতে কয়েকদফা হামলা চালায় এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। সর্বশেষ গতকাল ৮জুলাই সকাল ৮টায় অভিযুক্ত আসামীরা বাড়ি লক্ষ্য করে ১৫/২০রাউন্ড উপর্যপুরী গুলি বর্ষণ করে। এক পর্যায়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে তান্ডব চালিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ সাড়ে ৩লাখ টাকার মালামাল লুট করে এবং ভাংচুরে আরো ২লাখ ২০হাজার টাকা পরিমাণে ক্ষতি সাধন করে। ঘটনার সময় সন্ত্রাসীরা হুমকি দিয়ে বলেন যে, মামলা প্রত্যাহার না করলে তাদেরকে গুলি করে মেরে ফেলবেন। ঘটনার খবর পেয়ে থানার উপপরিদর্শক কাজী সোলতান মো: আহসান উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌছার পূর্বেই সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় তিনি বাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ও বাড়ি ভাংচুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
থানায় দায়েরকৃত এজাহারে অভিযুক্ত করা হয়েছে চিরিংগা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সওদাগরঘোনা গ্রামের মৃত শামসুল আলমের পুত্র নাছির উদ্দিন প্রকাশ খুনি নাছির, মো: নেজাম, নাজেম উদ্দিন, রেজাউল করিম ও আবুল হোছন, সওদাগরঘোনা মাঝেরপাড়ার ইমাম শরীফের পুত্র মো: নজু, নজু মিয়ার পুত্র হেলাল উদ্দিন, ইমাম শরীফের পুত্র আবদু জলিল প্রকাশ গণি সওদাগর ও মো: সেলিম,চরণদ্বীপ এলাকার মো: আলম প্রকাশ ডুম ফকিরের পুত্র মো: এমরান, ইমাম শরীফের পুত্র মো: হাবিব, আবদুল কাদেরের পুত্র আবু তাহের, রমজান আলীর পুত্র মো: নাজু, সওদাগরঘোনা দক্ষিণপাড়ার ফজল আহমদের পুত্র মো: রহিম, মৃত আবদুল জব্বারের পুত্র ফরিদুল আলম, হাফেজ ফকিরের পুত্র হেদায়ত আলী, মিতাফুল, শরীয়ত আলীল পুত্র বাবুলু, ওমর আলীর পুত্র মো: হেলাল,নুরুল আমিনের পুত্র মো: ইলিয়াছ, আবদু ছালামের পুত্র বাহাদুর, মোজাহের আহমদের পুত্র আবদু ছালাম, মাহম্মদ হোছনের পুত্র আবদুর রশিদ, আবদুল হামিদ, আবদুর রশিদের পুত্র আবদুর রহিম, মনজুর আলমের পুত্র নজরুল ইসলাম, গোলাম রমহানের পুত্র মো: রাসেলসহ ৩১জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৪/১৫জনকে।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, খবর পেয়ে থানার এসআই আহসান উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। নিহত নুরুল আমিনের হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে এবং নতুন করে হামলায় দায়েরকৃত অভিযোগ আমলে নিয়েছেন, তাও আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।##
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।