বিডি-প্রতিদিন :
ভারতের মেঘালয়ের রাজধানী শিলং জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদের রায় দু-তিন মাসের মধ্যেই হতে পারে। তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। এরই মধ্যে বিএনপির সাবেক এই যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর কিডনি ও ঘাড়ে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। তিনি এখন শিলংয়ে অবস্থান করছেন। স্ত্রী হাসিনা আহমেদসহ সপরিবারে শিলংয়েই ঈদ উদযাপন করেন। তবে ঈদের আগে হাসিনা আহমেদ দিল্লিতে চিকিৎসা নেন। তার সঙ্গে ছিলেন সালাহ উদ্দিন আহমেদসহ পরিবারের সদস্যরা।
গত বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে শিলং থেকে মোবাইল ফোনে কথা হয় সালাহ উদ্দিন আহমেদের। তিনি বলেন, ‘এখন শিলংয়ে অবস্থান করছি। শারীরিক অবস্থা মোটামুটি ভালো। সম্প্রতি ঘাড় ও কিডনিতে অস্ত্রোপচার করেছি। শিলং আদালতে দায়ের হওয়া মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। কয়েক মাসের মধ্যেই রায় হতে পারে। ’ সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ জানান, তার স্বামী দেশে ফেরার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছেন। তবে তিনি ভারতীয় আদালতে ফরেন অ্যাক্ট মামলায় বিচারিক প্রক্রিয়ায় আছেন। আদালতের রায়ের পরই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত হবে। স্বামীর জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান তিনি। ভারতীয় দণ্ডবিধি ফরেনার্স অ্যাক্টের ১৪ ধারায় সালাহ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করে শিলং সিটি পুলিশ। বিচারাধীন ওই মামলায় প্রায় দুই বছর ধরে জামিনে মুক্ত থাকলেও শিলং শহর থেকে ভারতের অন্য কোথাও যাওয়ার সুযোগ ছিল না তার। গত ফেব্রুয়ারিতে শিলং আদালত সালাহ উদ্দিনকে শিলং শহরের বাইরে যে কোনো রাজ্যে উন্নত চিকিৎসার অনুমতি দেয়।
এরপর ভারতের হরিয়ানার মেদান্ত হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। সেখানে গত মার্চের মাঝামাঝি কিডনিতে জটিল ‘পাইলোপ্লাস্টি’ রোগে আক্রান্ত সালাহ উদ্দিন আহমেদের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। এর আগে ২০১৬ সালে একই হাসপাতালে আদালতের অনুমতি নিয়ে ঘাড়ের অস্ত্রোপচার করেছিলেন তিনি। ঘাড়ের সমস্যা থেকে আপাতত মুক্তি পেলেও গত বছরের শুরুতে তার বাম কিডনিতে নতুন করে সংক্রমণ দেখা দেয়। এরও অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৫ সালের ১২ মে উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয়ের রাজধানী শিলং থেকে অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার হন বিএনপির এই নেতা। এর আগে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাত থেকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। তার অভিযোগ ছিল, সালাহ উদ্দিনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে যায়। তবে র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।