সিবিএন:
সেন্টমার্টিন দ্বীপের জন্মলগ্ন থেকেই গোটা দ্বীপবাসীর একটি মাত্রই গোরস্থান।দ্বীপের প্রবীন নবীন সকলেরই কবর রচিত হয় এই গোরস্থানে।দীর্ঘদিন ধরেই সাগরের ভাঙনের কবলে পড়ে প্রায় অর্ধেক জায়গা বিলীন হয়ে যায়।গোরস্থানের বাসিন্দারা মৃত বলেই দাবী জানাতে পারেনা তাদের শুয়ে থাকা জায়গাটি সাগরের ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষার জন্য।
গোরস্থানটি দুই নাম্বার ওয়ার্ডে হওয়ায় ইউপি সদস্য হিসেবে অনেক জায়গায় আবেদন করেছি। কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
সিদ্ধান্ত নিলাম, কিছু যুবককে বিষয়টি জানিয়ে সেচ্ছায় অন্তত কিছু কেয়া গাছ লাগিয়ে হলেও কিছুটা রক্ষা করা যেতে পারে। যে কথার সে কাজ। ভাইদের আবেদন করার সাথে সাথে অভুতপুর্ব সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসলেন দ্বীপদরদী ও জনদরদি ১,হাফেজ আল আমিন, মোহাম্মদ রহিম প্রকাশ পুতুইন্না মাঝি,মেকানিক আব্দুস শুক্কুর,পান দোকান্দার আব্দুস শুক্কুর,বাইসাইকেল ব্যবসায়ী হাফেজ আহমদ,ভ্যানগাড়ি চালক হোসাইন আহমদ,সদ্য প্রবাসী মৌলভি আব্দুল্লাহ,ফিসারম্যান আব্দুল হামিদ।
সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে অক্লান্ত পরিশ্রম দিয়ে গোরস্থান রক্ষার জন্য কেয়া গাছ রোপন সেচ্ছায় শ্রম দেয়ায় তাদের প্রতি অন্তরের অন্তস্থল কৃতজ্ঞতা।
দ্বীপ রক্ষায় এগিয়ে আসুন দ্বীপ থাকলেই থাকবে আমাদের রাজনীতি, সমাজনীতি,ব্যবসা বানিজ্য সবকিছুই। সব জায়গায় স্বার্থ আর রাজনীতি না খোজে দ্বীপের উন্নয়নে সবাইকে একমত হতে হবে এক জায়গায় আসতে হবে। তাহলেই দ্বীপ রক্ষা হবে দ্বীপের উন্নয়ন হবে, অন্যতায় তিলে তিলে সবকিছুই ধ্বংস হবে যাবে আমরা বুঝে উঠার আগেই।
সেন্টমার্টিন থেকে
আলহাজ্ব মোহাম্মাদ হাবিবুর রহমান খান (হাবিব খান),এমইউপি দুই নাম্বার ওয়ার্ড,৬ নং সেন্টমার্টিন ইউপি, টেকনাফ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।