উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বহীনতা
মমতাজ উদ্দিন আহমদ, আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি :
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখনো পর্যন্ত ত্রাণ পায়নি। উপজেলা প্রশসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের চরম দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করছেন এলাকাবাসী। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকাও এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে স্বীকার করেছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা।
জানা গেছে, গত ..বার থেকে টানা বর্ষণে পাহাড়ি খর¯্রােতা মাতামুহুরীতে পানি ফুলে উঠে। উপজেলার চারটি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী এলাকাগুলো তলিয়ে যায় বানের পানিতে। শত শত ঘরবাড়ি বন্যায় আক্রান্ত হয়। পানিবন্দি হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, সদর, নয়াপাড়া, চৈক্ষ্যং ও কুরুকপাতা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী বাড়িঘরগুলো মাতামুহুরী নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। অসহায় লোকজন ত্রাণের জন্য হাহাকার করতে থাকে। ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে পরিদর্শনকালে নয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যানকে কয়েকটি পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা দিতে দেখা গেছে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সমর রঞ্জন বড়–য়া বলেন, সাম্প্রতিক বন্যা ও ঘুর্ণিঝড় পরবর্তী জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের ত্রাণ সহায়তা পায়নি জনগণ। এটি প্রশাসনের ব্যর্থতা। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরীতে স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতা ও জনপ্রতিনিধিরে ব্যর্থতা রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, জুন ফাইনালে ভূয়া বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে সরকারি টাকা নয় করা নিয়ে প্রশাসন ও প্রতিনিধিরা ব্যস্ত। এ কারণে তাদের বানভাসি মানুষের হয়ে কাজ করা সময় নেই।
জানতে চাইলে সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা জামাল উদ্দিন বলেন, আমার ইউনিয়নে শতাধিক পরিবার বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত সরকারিভাবে কোন ত্রাণ সহায়তা পাওয়া যায়নি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তর্পন দেওয়ান বলেন, এ পর্যন্ত জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা পাওয়া যায়নি। আমরা নিজেরা ১৫/২০ জনের তালিকা তৈরী করেছি। উপজেলা পর্যায়ে ৫ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য বরাদ্দ আছে। ইউএনও ইচ্ছে করলে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে সেগুলি ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করতে পারবেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।