সাংবাদিক অর্পনের উপর হামলার ঘটনায় চলছে তদন্ত
কক্সবাজারের রামু উপজেলার বিতর্কিত সমাজসেবা অফিসার বিল্লাল হোসেন খন্দকারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিক অর্পন বড়–য়ার উপর হামলার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ইতিমধ্যেই তাকে রামু থেকে ফটিক ছড়ি বদলী করা হয়েছে।
জানা গেছে, রামু উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রুপেন চাকমার নেতৃত্বে ৩ সদস্যের গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে তাদের নিজ নিজ বক্তব্যও জানতে চেয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে কবে নাগাদ তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারছেননা তদন্ত সংশ্লিষ্ট কেউই।
কমিটির প্রধান ডাঃ রুপেন চাকমা জানান, বিষয়টি তদন্ত চলছে। যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করা হবে।
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাজাহান আলী জানান, আগেই বিল্লাল হোসেনকে ফটিকছড়ি বদলী করা হয়েছে। ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত; ১২ জুন রাত সাড়ে এগারটার দিকে কক্সবাজার শহর থেকে একই সিএনজি অটোরিক্সায় গ্রামের বাড়ি রামু ফিরছিলেন এটিএননিউজের কক্সবাজার প্রতিনিধি অর্পন বড়–য়া। কক্সবাজার বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার উপর পৌঁছুলে মাদকাসক্ত অবস্থায় অর্পন বড়–য়ার উপর হামলে পড়ে ওই সমাজসেবা অফিসার।অর্পন বড়–য়া কক্সবাজার জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি।
পরে সমাজসেবা অফিসার বিল্লাল হোসেন খন্দকারের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে রামুতে মানববন্ধন ও কক্সবাজার শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়। বিবৃতি দেয় বিভিন œসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে,এর আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায়ে ২ বছর কারা ভোগ করে ওই সমাজ সেবা অফিসার বিল্লাল। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে পুনরায় চাকরিতে যোগদান করে বিতর্কিত ওই অফিসার। রামু উপজেলায় যোগদান করার পর থেকে বড় অফিসারে নাম ভাঙিয়ে ইটভাটাসহ বিভিন্ন ক্রাইমজোন থেকে চাঁদা আদায়সহ বয়স্ক ভাতা ভোগীদের কাছ থেকে ঘুষগ্রহণ এবং ঘুষের টাকার জন্য মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।