সংবাদদাতা
শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়ায় প্রকাশ্য দিবালোকে নিরীহ চায়ের দোকানদারকে গুলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুলিবিদ্ধ দোকানী মোহাম্মদ আবু (৩০)-কে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি ওই এলাকার সাহাজানির ছেলে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার সময় দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়ার খোরশেদ মিয়াঘাটার দক্ষিণে ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে প্রভাবশালীদের তদবিরে সদর থানায় মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন গুলিবিদ্ধ আবুর স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে আবু তার চায়ের দোকারে সামনে সীমানার প্রান্ত থেকে দোকানের মেঝে ইটের দেওয়াল নির্মাণ করার প্রস্তুুতি নিচ্ছিলেন। এই সময় স্থানীয় নজরুল প্রকাশ নজু বাঁধা প্রদান করেন। এক পর্যায়ে নজু ও আবুর মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এ সময় নজরুলের ছেলে ওমর ফারুক সোহাগ (২৯) ঘটনাস্থলে আসে। এরপর সোহাগ ও তার বাবা নজু একযোগে আবুর উপর হামলা করে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে। এই সময় সোহাগ তার কোমরে থাকান নাইন এম এম পিস্তল দিয়ে আবুর পায়ে গুলি করে। আশপাশের লোকজন যাতে ছুটে না আসে, সেজন্যে সোহাগ পরপর কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আহত আবুকে তার স্ত্রী ও স্থানীয় কয়েকজন সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জানা যায়, এর কিছুক্ষণ পর সদর থানা এস আই আবু বক্কর কয়েকজন পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছেন। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খোলে নি। সদর হাসপাতালে খবর নিয়ে জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ আবুর পা থেকে পিস্তলের গুলি বের করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, সন্ত্রাসী সোহাগের বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাই, অস্ত্রসহ বিভিন্ন অভিযোগ মামলা রয়েছে।
সে দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া এলাকার বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনী ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তার কাছে বিভিন্ন ব্রান্ডের অত্যাধুনিক অস্ত্র মজুদ রয়েছে বলে বিশ্বস্থ সুত্র জানিয়েছে।