নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার শহরের ১১ নং ওয়ার্ডের বাহারছড়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসী হামলায় মা ছেলে ও কন্যা আহত হয়েছে। সন্ত্রাসীরা এ সময় ছেলের ব্যবহৃত স্বর্ণের চেইন, ২টি মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে যায় এবং এ ঘটনায় কোন মামলা কিংবা অভিযোগ করা প্রাণনাশের হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ অভিযোগটি আমলে নিয়ে কক্সবাজার সদর থানার এস আই ফারুকে বিষয়টি দেখানোর জন্য দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগনামা সূত্রে জানা গেছে, বাহারছড়ার এলাকার আবদুস সবুর এর স্ত্রী ছেনুয়ারা কক্সবাজার সদর থানায় একটি বিচারের স্বাক্ষী প্রদান শেষে বাড়িতে পৌছলে একই এলাকার ইউসুফের ছেলে সবুজ, মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে জাবেদ, রিয়াদ, রুবেল সহ ১০/১৫ একটি দুবৃর্ত্তের দল ছেনোয়ারার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে লাঠি, কিল ও ঘুষি দিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। এ অবস্থা দেখে তার স্কুলে পড়–য়া ছাত্র নিশাদ ও ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে এগিয়ে এলে তাদেরকেও ব্যাপক মারধর করে। শোরচিৎকার দিলে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসায় তাদের বৃবহৃত মোবাইল, স্বর্ণের চেইনসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি পালিয়ে যায় এবং ফোনে তাদের হুমকি প্রদান করে আসছে। এ ঘটনায় আহত ছেনুয়ারা বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হলে অভিযোগটি আমলে নিয়ে কক্সবাজার সদর থানার এসআই ফারুককে বিষয়টি দেখার দায়িত্ব প্রদান করা হয়। পুলিশের কর্মকর্তা বিষয়টি আমলে ৫ সদস্যের একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আসামীর পরিবারের সাথে দেখা তাকে সহ থানায় আসার নির্দেশ প্রদান করে।
পুলিশ জানিয়েছে, মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে জাবেদের বিয়ে সংক্রান্ত একটি বিষয়ে দায়েরকৃত অভিযোগে স্বাক্ষী দেওয়ায় তাদেরকে এ হামলা চালানো হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এএসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটি সত্য। বাহারছড়া এলাকার মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে জাবেদের বিয়ে সংক্রান্ত এক বিচারে স্বাক্ষী দেয়ায় ছেনুয়ারা ও তার পুত্র কন্যাকে মেরে আহত হয়েছে। এ বিষয়টি পুলিশের পক্ষ থেকে জোরালো হস্তক্ষেপ করা হবে। অপরাধী যেই হোক তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।