ডেস্ক নিউজ:
বাংলাদেশে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে আলোচনা শুরুর প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থাউং টুন। তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে মতানৈক্যের বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের জন্য আগ্রহী মিয়ানমার।’ রবিবার (৩ জুলাই) পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এই কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে থাউং টুন রবিবার তিনদিনের সফরে ঢাকায় আসেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাহমুদ আলীকে মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থাউং টুন বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য এর আগেও দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করেছে।’ বৈঠকে তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে আরও সম্পর্কোন্নয়নে তার সরকারের ইচ্ছার বিষয়টি তুলে ধরেন।
এই সময় থাউং টুন বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে রাখাইন প্রদেশের সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে টেনশন কমাতে সহায়তা করবে। সমস্যা সমাধানে সহায়তা করবে।’
মাহমুদ আলী বলেন, ‘বাংলাদেশ তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে আস্থা ও উভয়পক্ষের জন্য লাভজনক এমন একটি সম্পর্ক তৈরি করতে আগ্রহী।’ মতানৈক্য দূর করার জন্য মুক্ত আলোচনার ওপর জোর দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রতিবেশীর জন্য ক্ষতিকারক এমন কোনও কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ ’জিরো টলারেন্স’ মনোভাব পোষণ করে। প্রতিবেশীর জন্য হানিকর এমন কোনও কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের মাটিতে হতে দেবে না সরকার।’’
সীমান্ত অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার বিষয়ে বাংলাদেশ সবসময় সহায়তা দেবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এই বিষয়ে আস্থা বাড়ানোসহ উভয় দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এমন বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য উচ্চ পর্যায়ের সফরের গুরুত্বের বিষয়ে একমত হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মিয়ানমারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।