আব্দুল আলীম নোবেল, কক্সবাজার
কোনভাবে মানতে পারছিনা স্বামীর মৃত্যু। দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিলেন তিনি। আমার স্বামীকে রাজনৈতিক কারণ সহ নানা কারণে মেরে ফেলতে পারে। এলাকায় তার বিরোধী শক্ত প্রতিপক্ষ ছিল। উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক বার শীর্ষ পদ থাকায় অনেকের কাছে তিনি চুক্ষুশুল হতেও পারে। আবার অনেকে মেনে নিতে পারেনি তার উত্থান। পেশায় একজন পল্লি চিকিৎসক হলেও আপাদমস্তক ভদ্রলোক ছিলেন তিনি। মাত্র দুই জন মেয়ে সন্তানের বাবা ছিলেন। এক মেয়ে বিবাহের কারণে ঘরে না থাকলেও কলেজ পড়ুয়া আরেক মেয়েকে নিয়ে কাঁন্না কে সাথী করে চলছে এই জীবন। মৃত্যুর দুই মাস ৪ দিন পার হলেও এই রহস্য জনক মৃত্যুর কোন কুলকিনারা পাচ্ছিনা। জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এখনো মামলা করার সহস পাইনি। এই পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকেও তেমন ভাল কোন সহযোগিতা পায়নি বলে প্রতিবেদক বলেন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মৃত মোহাম্মদ ঈসমালের স্ত্রী জোসৎনা আক্তার।
এতিনি আরো বলেন, ২৮ এপ্রিল, উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল বিষয়ে কাজ আছে বলে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। তার পকেটে ৮৪ হাজার টাকা ছিল। শুনেছি পুলিশ তার ম্যানি ব্যাগ থেকে টাকা উদ্ধার করেছে মাত্র ১৬শ টাকা। তাকে দাফনের আগে দেখেছি লাশের শারীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন। যে হোটেল কক্ষে ছিলেন সেই হোটেল কক্ষের ভেতর থেকে লগ দিয়ে অনায়সে বের হয়ে যেতে পারে। এটিও রহস্যজনক। হোটেলে সিসি ক্যামরা থাকলেও একবারের জন্য ওই সিসি ক্যামরার ফুটেজ দেখাতে পুলিশ সহযোগিতা করেনি। তার ব্যবহারিত দুই টি সেল ফোন, কললিষ্ট, ময়না তদন্তের ডাক্তারি রির্পোটও এখনও পায়নি।
শহরের লালদীঘির পাড়স্থ আবাসিক হোটেল পালংক্যি থেকে গত ৩০ এপ্রিল মোহাম্মদ ঈসমাইলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সংগঠনবিরোধী কাজ করছেন অভিযোগ করে দলীয় এক নেতার বিরুদ্ধে শনিবার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার পরদিনই তাঁর লাশ উদ্ধার করা হলো ।
তিনি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর নাইক্ষ্যংছড়ি ইউনিয়নের মসজিদ পাড়ার গোলাম রসুল মোল্লার ছেলে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।