পেকুয়া সংবাদদাতা:

পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মগকাটা গ্রামে হামলায় সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: আবছার উদ্দিন এর বাড়িতে দূর্বৃত্তরা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তার দুই সহোদর বদিউল আলম ও নেছার উদ্দিন আহত হয়। তারা মগকাটা গ্রামের সেকান্দর আলীর পুত্র। এ সময় দূর্বৃত্তরা বসতবাড়িতে ঢুকে নববধুর ৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও টাকা নিয়ে যায়।

ঘটনাটি ঘটেছে, ৩০ জুন সকাল ১০টায় ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে। তারা তিন জনই পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আহত ছাত্রলীগ নেতা মো: আবছার উদ্দিন জানান, গত ২৭ জুন বিকালে ফুটবল খেলায় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তার ভাই বদিউল আলমের সাথে একই এলাকার তোফাইল নামের এক যবুকের কথাকাটাকাটি হয়। এ ঘটনার সূত্র ধরে ৩০ জুন শুক্রবার সকাল ১০টায় স্থানীয় আবদুল কাদেরের বাড়িতে সালিশী বৈঠক অনুষ্টিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৈঠক শুরু হওয়ার আগ থেকে আবদুল কাদেরের বাড়িতে নাসির উদ্দিন, নাজেম উদ্দিন, সিরাজ, আকতার, লোকমান, তোফাইল, আলমগীর, জাহাঙ্গীর, জাহাঙ্গীর (২), নওশা মিয়া, জসিম উদ্দিন, আনিছ ও কাইছারসহ আরো ৮/১০ ব্যক্তি তাদের উপর হামলার উদ্দেশ্য নিয়ে অবস্থান করে। ছাত্রলীগ নেতাসহ তার ভাইয়েরা সালিশী বৈঠকের পৌছার পরপর আবদুল কাদেরের নেতৃত্বে উল্লেখিত অপরাপরা তাদেরকে মারধর করে আহত করে। পরে স্থানীয়রা এসে তাদেরকে উদ্ধার পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করায়। তার মধ্যে বদিউল আলমের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। হাসপাতালের টিএইচও মুজিবুর রহমান তিনজন আহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে আহত ছাত্রলীগ নেতা আবছার উদ্দিন জানান।