অনলাইন ডেস্ক :
পবিত্র ঈদ উল ফিতরের দিনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান খুবই ব্যস্ত সময় পার করেছেন।
মা-ছেলে দুজনেই পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে কূটনৈতিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, আইনজীবীসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।
সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন খালেদা জিয়া।
দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত কূটনৈতিক, বিশিষ্ট নাগরিক, দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় অনুষ্ঠানস্থলে প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যায়। অনুষ্ঠানস্থল ছিল লোকে লোকারণ্য। দীর্ঘদিন পর এ যেন নেতাকর্মীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে মতবিনিময় করতে গিয়েছিলেন ঢাকাস্থ বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনৈতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
খালেদা জিয়া সাড়ে ১২টার কিছু সময় আগে মিলনায়তনে যান। এর আগে সকাল দশটা থেকে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠগুলোর নেতাকর্মীরা আসতে থাকে অনুষ্ঠানস্থলে। বেলা সাড়ে ১২টা থেকে কূটনৈতিক, বিশিষ্ট নাগরিক, দলীয় নেকাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, খন্দকার মোশারফ হোসেন, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রমুখ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, সাদেক খান, রুহুল আমীন গাজী, আবদুল হাই শিকদার। এছাড়া ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাঁচ জনের একটি প্রতিনিধি দল খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এছাড়া ২০ দলীয় জোটের জেবেল রহমান গাণি, শাহাদাত হোসেন সেলিমসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর খালেদা জিয়া চন্দ্রিমা উদ্যানে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতে যান। পরে তিনি বনানীতে ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করে বিকেলে নিজ বাসভবনে ফিরে যান।
এর আগে সকালে দূরদেশে থাকা তিন নাতনির সঙ্গে টেলিফোনেই ঈদের খুশির শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার পারিবারিক ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত প্রায় এক দশকের মতো ঈদের চাঁদ দেখা যাওয়ার সাথে সাথে লন্ডন থেকে নাতনীদের ফোন আসে খালেদা জিয়ার কাছে। লন্ডনে তারেক রহমান থাকছেন সপরিবারে। এছাড়াও আছেন প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও সন্তানরা।
খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বেগম জিয়া ছেলে এবং ছেলেদের স্ত্রীদের সাথে প্রয়োজনের বেশী কিছু আলাপচারিতা করেন না। এমনকি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও দোয়া করা ছাড়া তেমন কিছু না। কিন্তু তিন নাতনী জায়মা রহমান, জাকিয়া রহমান এবং জাহিদা রহমানের সাথে চাঁদ রাত ও ঈদের সকালে দীর্ঘ সময় গল্প, ঠাট্টা আর হাসি খুশিতে টেলিফোনে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করেন খালেদা জিয়া।
ওই কর্মকর্তা পরিবর্তন জানান, আপাতদৃষ্টিতে বেগম জিয়াকে খুব গুরুগম্ভীর বলে মনে হলেও নাতনীদের সাথে তিনি আর দশজন সাধারণ দাদীর মতোই।
তিনি আরো জানান, ঈদের দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে বেগম খালেদা জিয়া প্রতিদিনকার মতো হালকা ফল আর নাস্তা সেরে নাতনী এবং নিজ স্টাফদের খোঁজখবর নিয়েছেন। দিনের পরবর্তী অংশটি রাখেন দলীয় কাজের জন্য।
এদিকে লন্ডনে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রবিবার বিকেলে পূর্বলন্ডনের স্থানীয় সোনারগাঁও রেস্টুরেন্টে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান লোকে লোকারণ্য ছিল। ভিড় ঠেলে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়ে অনেককেই বেগ পোহাতে হয়।
যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শতশত নেতাকর্মী এসময় তাদের প্রিয় নেতার সাথে শুভেচছা বিনিময় করতে বাংলাদেশীদের প্রাণকেন্দ্র ব্রিকলেনে সমবেত হন। সারিবদ্ধভাবে সকলে তার সাথে ঈদের সালাম ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনিও প্রত্যেকের কুশল জানতে চান। বিএনপি নেতাকর্মীরা ছাড়াও বিশিষ্ট ব্যক্তি, সাংবাদিক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও শুভেচ্ছা বিনিময় পর্বে যোগ দেন।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক ও সাধারণ সম্পাদক কয়ছর আহমেদ শুভেচ্ছা বিনিময়ে আগত অতিথিদের স্বাগত জানান।
শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যেও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, ব্যারিস্টার নাসিরুদ্দিন আহমেদ অসীম, হুমায়ুন কবির ও ব্যারিস্টার এম এ সালাম।
যোগ দেন শিক্ষাবিদ ও যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কে এম মালেক, টাওয়ার হ্যালমেট কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর ওহিদ আহমেদ।
এছাড়াও যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস, আব্দুল হামিদ মুজিবুর রহমান মুজিব, এম লুৎফর রহমান, মজ্ঞুরুস সামাদ চৌধুরী মামুন, মোঃ গোলাম রাব্বানি, ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান, প্রফেসর এম ফরিদ উদ্দিন, গোলাম রাব্বানী সোহেল, আক্তার হোসেন, সহিদুল ইসলাম মামুন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান, তাজ উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, ফেরদৌস আলম, শামসুর রহমান মাহতাব, সাবেক ছাত্র নেতা নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ ও পারভেজ মল্লিক, বিএনপি নেতা ড. মজিবুর রহমান, ইসলাম উদ্দিন, রাজন আলী সাইদ, আতিকুর রহমান চৌধুরী পাপ্পু, আজমল হোসেন চৌধুরী জাবেদ, নাসিম আহমেদ চৌধুরী, শরীফুজ্জামান চৌধুরী তপন, দেওয়ান মোকাদ্দেম চৌধুরী নিয়াজ, খসরুজ্জামান খসরু, শামিম আহেমদ, মোশাহিদ আলী তালুকদার, এমদাদ হোসেন টিপু, আলহাজ সাদির মিয়া, আশরাফুল ইসলাম হীরা, নাজমুল হাসান জাহিদ, সেলিম আহমদ, রহিম উদ্দিন, সোয়ালিহিন করিম চৌধুরী, নাসির আহমেদ শাহীন, মিসবাহ বিএস চৌধুরী আবুল হোসেন, ব্যারিস্টার আবুল মনসুর শাহজাহান, ব্যারিস্টার হামিদুল হক লিটন আফিন্দি, এম এ সালাম, ইকবাল হোসেন, ফেরদৌস রহমান, অজ্ঞনা আলম প্রমুখ।
– আরটিএনএন
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।