শাহেদ মিজান, সিবিএন:
দেখতে দেখতে ঘনিয়ে এসেছে মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। চাঁদপঞ্জি হিসাবে আগে থেকেই এবার ২৯ রমজান পাওয়ার সম্ভাবনা কথা জানানো হয়েছে। সে হিসেবে আজ রোববার চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল সোমবার ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। এই বিষয়কে মাথা রেখে আয়োজন প্রস্তুতি হাতে নিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক। কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও নিরাপত্তা প্রস্তুতিসহ সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে।
জানা গেছে, জেলার প্রধান ঈদের নামাজের জামাত হবে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে। এই ঈদগাহ ময়দানে এক সাথে ঈদেও নামাজ আদায় করবে ২০ হাজার মানুষ। এই বিশাল আয়োজনের সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে গেছে। এই ঈদগাহ’র জামাতের আয়োজন করছে কক্সবাজার পৌরসভা। পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা খোরশেদ আলম এই তথ্য জানান তিনি।
খোরশেদ আলম জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও কেন্দ্রীয় ঈদের নামাজের জামাত হচ্ছে কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম সংলগ্ন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। নামাজের জন্য ঈদগাহ ময়দানে প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রায় ২০ হাজার মানুষের ধারণ বিবেচনা করে প্রায় ৫৫ হাজার বর্গফুটের এই ময়দানটির পুরো অংশ নামাজের জন্য প্রস্তত করা হয়েছে। পুরো ময়দানকে সামিয়ানা দিয়ে প্যান্ডেল আকারে ঢেকে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে মূল অংশকে বৃষ্টি নিরোধক করা হয়েছে। এর জন্য সামিয়ানার কাপড়ের উপর বৃষ্টি নিরোধক ত্রিপল টাঙানো হয়েছে। টেন্ডারের মাধ্যমে কক্সবাজারে মুন্নি ডেকোরেটার্স এই আয়োজন সম্পন্ন করেছে।
মুন্নি ডেকোরেটার্সের কর্মী ইনচার্জ মো. আয়ুব জানান, গত ছয় দিন একটানা প্যান্ডেল টাঙানোর কাজ চলেছে। ১৮জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করেছে। বাঁশের খুঁটি দিয়ে কাপড় আর ত্রিপল দিয়ে ছাউনি দেয়া হয়েছে। মূল প্যান্ডেলের প্রায় ৮০ শতাংশ বৃষ্টিনিরোধক করা হয়েছে। অবশিষ্ট অংশটা কাপড় দিয়ে ছাউনি দেয়া হয়েছে। পাশপাশি মেহরাবের সংস্কার কাজও করা হচ্ছে। মেহরাব ধুয়ে-মুছে রং লাগানো হয়েছে।
শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্যান্ডেলের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন করতে শ্রমিকেরা বিরতিহীন কাজ করছে। ময়দানের মূল অংশ ছাড়াও দু’পাশের খন্ড খন্ড অংশগুলোতেও প্যান্ডেল টাঙিয়ে নামাজ আদায় করার সুন্দর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মুন্নি ডেকোরেটার্সের কর্মী ইনচার্জ মো. আয়ুব বলেন, ‘সব কাজ সম্পন্ন করে শনিবার বিকালের প্যান্ডেল পৌর কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় জামাতের সাথে মিল রেখে সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এক জামাতে সংকুলান না হলে দ্বিতীয় জামাত আয়োজন করা হবে। নামাজে ইমামতি করবেন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মাহমুদুল হক।
কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদ জামাত আয়োজনের জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আমরা মানুষ নির্বিঘেœ ঈদ জামাতে অংশ নিক।’
পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন বলেন, ঈদ জামাতের নিরাপত্তা জন্য পুলিশের সদস্য, কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়াও সনাতন ধর্মের লোকজনও সঙ্গে থাকবেন।’
জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ঈদ জামাতের তদারকি করা হবে। পরিপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ যাবতীয় সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।