মোঃ নিজাম উদ্দিন, ডুলাহাজারা থেকে:
চকরিয়া উপজেলার নিকটবর্তী পার্বত্য লামা উপজেলাধীন ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে মাত্র বিশ হাজার টাকা দিতে অপারগে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে ২৩ জুন শুক্রবার ভোর ৬টায় ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড লাইল্লার মার আগা নামক এলাকায়। নিহতের পিতার অভিযোগ ও স্থানীয়দের মতে জানাযায় বিগত ৫বছর পূর্বে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মৌং আব্দুর রাজ্জাকের কন্যা ইয়াছমিন আক্তার (২৫) এর সাথে বিয়ে উল্লেখিত এলাকার মৃত গুরা মিয়ার পুত্র ও ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিনের ছোট ভাই মোঃ বাবুল (৩৭) এর সাথে। তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পিত্রালয় থেকে টাকা নিয়ে যেতে ও বিভিন্ন কারণে অকারণে স্ত্রীর উপর নির্যাতন চালাতেন স্বামী বাবুল।
এদিকে তার বড়ভাই সাপের গাড়া এলাকার নাছির উদ্দিন মেম্বার স্থানীয় একটি হত্যা মামলার আসামী হয়ে পলাতক রয়েছে। তার কাছে টাকা পাঠাতে স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তারকে ২০হাজার টাকা পিত্রালয় থেকে নিয়ে আসতে চাপ সৃষ্টি করে স্বামী। অবশেষে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ঘটনার আগে থেকে এ নিয়ে উভয়ের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। গত শুক্রবার সেহেরীর পর ভোরে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন শুরুকরে দেয়। একপর্যায়ে স্ত্রী ইয়াছমিনের মাথায় স্বজোরে আঘাত করায় রক্তক্ষরণ হয়ে কান দিয়ে রক্ত বের হয়। অবস্থা মারাত্বক দেখে নির্দোষ প্রমাণ করতে স্ত্রীর মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে পালিয়ে যায় স্বামী। পরে তার এক বড় ভাই মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে চকরিয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং এতে তার মৃত্যু হয়।
নিহত ইয়াছমিনের পিতা আব্দুর রাজ্জাক আরো জানান ‘মৃত্যুর পর আমি সহ ময়না তদন্তের জন্য বান্দরবানে সদর হাসপাতালে আসছি। এখনো পর্যন্ত আমার মেয়ের মাথা ও কান দিয়ে রক্ত ঝরছে। এখানে বিষ খাওয়ার কোন আলামত দেখা যাচ্ছে না। একটি মহল ময়না তদন্ত না করে সমজোতা করতে বলেছিল আমাকে। এখনো পর্যন্ত তাদের হুমকি দামকিতে চাপের মুখে আছি আমি।’
লামা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন তার শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি এবং বিষ খাওয়ায় সে মারা গেছে। পরদিন শনিবার সকালে ময়না তদন্তের কর্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।