বিশেষ প্রতিবেদক:
পেকুয়ায় কথা কাটাকাটির জের ধরে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের প্রকাশ্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৩জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পেকুয়া বাজারের ফাসিয়াখালী ব্রীজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় একপক্ষ অপর পক্ষকে ধাওয়া দিলে পেকুয়া বাজারে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের বন্ধ হয়ে যায় পেকুয়ার ব্যস্ততম বাজারের শতশত দোকান। তবে, হাতাহাতির ঘটনা সংঘর্ষের রূপ নেয়ার আগেই পেকুয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
মগনামা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মনছুর আলম নানক বলেন, আজ (শুক্রবার) উপজেলা ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাদের সাথে ছাত্রলীগ নেতা শওকত মগনামা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ইফতার মাহফিলে যায়। সেখানে উপস্থিত এক সিনিয়র নেতাকে তিনি উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কফিল উদ্দিন বাহাদুরের বিরুদ্ধে মন্তব্য করলে আমি ও মগনামা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি পারভেজ মোশারফ নিশান এর প্রতিবাদ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে একইদিন রাতে ছাত্রলীগ নেতা শওকত ও সাজিম আমাকে পেকুয়া বাজার থেকে মগনামা ফেরার পথে ফাসিয়াখালী ব্রীজ এলাকায় পথরোধ করে হামলা চেষ্টা চালায়। এসময় হামলা চেষ্টা প্রতিহত করতে গেলে তাদের সাথে আমার হাতাহাতি হয়। পরে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কফিল উদ্দিন বাহাদুর ও অপর ছাত্রলীগ নেতারা আমাকে উদ্ধার করতে আসলে উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এহেতাশাম, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান ও ছোটনসহ আরো ১০-১২ যুবক আমাদের উপর হামলা চেষ্টা চালায়।
পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কফিল উদ্দিন বাহাদুর বলেন, মগনামা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মনছুর আলম নানককে আমরা উদ্ধার করতে গেলে তারা আমাদের ধাওয়া দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এহেতাশামুল হকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পেকুয়া থানার উপ পরিদর্শক বিপুল চন্দ্র রায় বলেন, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মফিজের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষকে তাৎক্ষণিকভাবে শান্ত করা হয়েছে। আজ (শনিবার) উভয় পক্ষকে নিয়ে তিনি বিষয়টি সমাধান করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। পেকুয়া বাজারের অবস্থা বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।