ইমাম খাইর, সিবিএন
যোগদানের মাত্র ৭ মাসের মাথায় সরকারের সিনিয়র সহকারী সচিব পদোন্নতি পেলেন কক্সবাজার সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) পঙ্কজ বড়ুয়া।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২৯৩ নং স্মারকে তার পদোন্নতির তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এসিল্যান্ড পঙ্কজ বড়ুয়া গত ১০ নভেম্বর কক্সবাজার সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে যোগদান করেন। যোগদানের ৭ মাস ১২ দিনের মাথায় যোগ্যতা কর্মদক্ষতার কারণে তিনি পদোন্নতি পেয়েছেন।
পঙ্কজ বড়ুয়া চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড এলাকার বাসিন্দা। তার পিতার নাম সুশান্ত বড়ুয়া। ৩০ তম বিসিএস এর মাধ্যমে তিনি সরকারী চাকুরীতে যোগদান করেন।
কক্সবাজারে যোগদানের পরপরই তিনি ভূমি অফিসকে হয়রানীমুক্ত করে জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের ঘোষণা দেন। গ্রহণ করেন অনেক ব্যতিক্রমী কর্মসুচি ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
তিনি সদর ভূমি অফিসকে উমেদার, দালালমুক্ত করার ঘোষনা দেন। মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের ব্যাপারে কঠোর নীতি অবলম্বন করেন। শহরের বিভিন্ন এলাকায় সরকারী অবৈদ দখলমুক্ত করতে অবিস্মরনীয় ভূমিকা রাখেন। অল্প সময়েই তিনি দখলবাজদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হন।
পঙ্কজ বড়ুয়া যোগদানের পর থেকে সেবাপ্রার্থীদের যথা সম্ভব সেবা দিতে আন্তরিক ছিলেন। ফাইল জটলা ক্রমেই কমে আসছিল। দূর্নাম ঘুচিয়ে উঠছিল বহুল সমালোচিত ও বিতর্কিত সদরের ভূমি অফিস। গুছিয়ে তুলেন অফিসিয়াল কার্যক্রম। অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে গড়ে তুলেন চমৎকার সেতুবন্ধন ও চেইন অব কমান্ড।
মানুষের সেবা ও কাজের গতিশীলতা আনতে বেশ কিছু কর্মপন্থা হাতে নেন এসিল্যান্ড পঙ্কজ বড়ুয়া। অফিসের নিরাপত্ত্বা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেন। দপ্তরওয়ারী কর্মবণ্ঠন করে দেন।
সেবাগ্রহীতাদের বসার জন্য ‘সেবাঘর’ নির্মাণের চিন্তা ও ‘ওয়ানস্টপ সার্ভিস’ এর মাধ্যমে মানুষকে দ্রুত সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন।
তাছাড়া কক্সবাজার সদর ভূমি অফিসের নামে ফেসবুক পেজ খোলে তথ্য আদান প্রদান, অভিযোগ সংগ্রহ ও নিষ্পত্তিসহ জনগণের দূরগোড়ায় সরকারী সেবা পৌঁছে দেওয়ার কর্মপরিকল্পনা এসিল্যান্ড পঙ্কজ বড়ুয়ার। সবমিলিয়ে তিনি অফিসের ভেতর বাইরে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি ছিলেন।
উল্লেখ্য, পঙ্কজ বড়ুয়া ছাড়া একই আদেশে সারা দেশে ২২৮ জন পদোন্নতি লাভ করেন।
সেখানে চকরিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মু. দিদারুল আলম, মহেশখালীর বিভীষন কান্তি দাশ, উখিয়ার নুরুদ্দিন মো. শিবলী নোমান ও রামুর নিকারুজ্জামান পদোন্নতি পান।