এ এম ওমর আলী, চকরিয়া
চকরিয়ায় রমজান মাসের শেষ মুর্হুতে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদ বাজারমুখী হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে চকরিয়া উপজেলা সদরসহ আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ জমে উঠেছে ঈদের বাজার। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১৫ রমজান থেকে চকরিয়া পৌরশহরের বাণিজ্যিক এলাকা বিপনী বিতান গুলোতে নতুন জামা-কাপড় কেনাকাটার ধুম পড়েছে। বেশিরভাগ দোকানে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ছে বিপনী বিতান গুলোতে ক্রেতা সমাগম। বিপনী বিতান গুলোতে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঈদের বাজারে নারীদের পছন্দ নামাীদামি ব্রান্ডের শাড়ি ও শেলোয়ার কামিজ। ক্রেতা সমাগমকে উপলক্ষ করে ইতোমধ্যে বিপনী বিতান সমুহের প্রায় দোকান সেজেছে বর্ণিল সাজে। প্রায় দোকানে তোলা হয়েছে নতুন ডিজাইনের কাপড় ও প্রসাধন সামগ্রী। এদিকে বিপনী বিতান গুলোতে নিবিঘেœ বেচাকেনা নিশ্চিত করতে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ, ঈদ বাজারে পন্য বিক্রিতে মুল্য তালিকা না থাকার কারনে ইতোমধ্যে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো.দিদারুল আলম অভিযান পরিচালনা করেছেন একাধিক বিপনী বিতানে। কয়েকটি দোকানদারকে জরিমানাও করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রশাসনের অভিযানের পরও বর্তমানে পন্য বিক্রিতে ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দাম হাতিয়ে নিচ্ছেন দোকানীরা। বিশেষ করে কাপড় ও জুতা দোকান গুলোতে পন্যের গায়ে মুল্য তালিকা না থাকায় ক্রেতা সাধারণ প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে উপজেলা সদরের চিরিঙ্গা-সোসাইটির বাণিজ্যিক শহরের নিউ মার্কেট, ওয়েস্টান প্লাজা, আনোয়ার শপিং কমপ্লেক্স, চকরিয়া শপিং কমপ্লেক্স, সুপার মার্কেট, নিউ সুপার মার্কেট, চিরিংগা সমবায় মার্কেট, আবদুল মতলব শপিং সেন্টার, চকরিয়া সিটি সেন্টার, রূপালী শপিং কমপ্লেক্স, রওশন মার্কেট ও হকার্স মার্কেটের মার্কেটে রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার দোকান। এসব দোকানে শোভা পাচ্ছে মেয়েদের পছন্দের পোশাক শেলোয়ার কামিজ কিরণমালা, আনার কলি, লেহেঙ্গা, পাগলো, শিলা, ছাম্মাকছালো, ঝিলিক, ফুলকলি, আনারকলি, শিপন, স্কাট টপস, থ্রি পিস, জিন্স প্যান্ট, জামদানি শাড়ি, বেনারশি, কাতান, সিল্ক, জর্জেট জয়পুরি, ছেলেদের নবাবী পাঞ্জাবি, শেরওয়ানি, ফতুয়া, টি-শার্ট, প্যান্ট এবং ছোটদের জন্য রয়েছে বাহারি ডিজাইনের তৈরি পোশাক।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, থানা পুলিশের নজরদারির কারনে বিপনী বিতান গুলোতে এখনো পর্যন্ত নির্বিগ্নে ঈদের কেনাকাটা চলছে। বর্তমানে বিপনী বিতান গুলোর ভেতরে বাইরে পুলিশের একাধিক টিম নজরদারিতে রয়েছে। এছাড়া ঈদ বাজার উপলক্ষে মার্কেটের সামনে বসানো হয়েছে অস্থায়ী পুলিশ বক্স। তিনি বলেন, ঈদের দিন ভোররাত পর্যন্ত পুলিশের এই সেবা ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সাধারণের জন্য অব্যাহত থাকবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।