নুরুল আজিম রিপন: ঈদগড়:
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাত্র ৪ দিন বাকী থাকতে ঈদগড়-ঈদগাঁও বাইশারী সড়কে হিললাইন নামক মিনি সার্ভিস চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের চরম দূর্ভোগ পড়তে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ডাকাত এবং অপহরনকারীর ভয় কাজ করে এই সড়কে। অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে চাঁন্দের গাড়ী (জীপ) সিএনজি।এরপরও কক্সবাজার রামু উপজেলার ঈদগড় দিয়ে বয়ে যাওয়া এ সড়কটি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীর মানুষদের একমাত্র চলাচল পথ হওয়ায় নিরবে সহ্য করতে হচ্ছে এসব দু:খ-দূর্দশা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের ভোমরিয়াঘোনা ও গজালিয়া এলাকায় অসম্পূর্ণ ব্রীজ এবং লাগাতার বর্ষনে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়কটি।বিকল্প সড়ক বাস চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় হিললাইন নামক মিনিবাস সার্ভিস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাধ্য হয়ে যাত্রীদেরকে টম টম, সিএনজি, জীপ দিয়ে ভাঙ্গা রাস্তায় চলাচল করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।যাত্রীদের গুণতে হচ্ছে দ্বিগুন ভাড়াও।এমনকি গাড়ীর ঝাকুনিতে শরিরের বিভিন্ন জায়গায় জখমও হচ্ছে যাত্রীদের। তাছাড়া সঠিক সময়ে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছতে পারছেনা যাত্রীরা।
ঘরমুখো শিক্ষার্থী আব্দুল আলিম ও আবুল কায়সার জানান, ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কে হিললাইন সার্ভিস বন্ধ রয়েছে দেখে ঈদের আনন্দটাই মাটি হয়ে গেল। ঈদগাঁও ষ্টশনে এসে দেখি সিএনজি জন প্রতি গজালিয়া ভাঙ্গা পর্যন্ত ৩০ টাকা আদায় করছে সেখান থেকে আবার ২০ টাকা দিতে হচ্ছে। এভাবে আরো অনেক ঘর মুখো ও কেনাকাটা করতে যাওয়া যাত্রী সাধারনকে অতিরিক্ত ভাড়া পোহাতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গত মঙ্গলবার চিকিৎসা নিতে যাওয়া নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী এলাকার মাওলানা মোঃ তাহের জানায়, হিললাইন সার্ভিস বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে সিএনজি দিয়ে খুব কষ্ট করে যেতে হয়েছে।
বাইশারী বাজারের মুদি দোকান ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম জানায়, সড়কের দুই জায়গায় বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য গাড়ী করে আনতে দ্বিগুন খরচ গচ্ছা যাচ্ছে।
ঈদগড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পদক হাজী নুরুল আলম জানায়, সড়কটি পুরোপুরি সংস্কার না হওয়ায় ভাঙ্গা স্থানে থেমে থেমে গাড়ী গুলো চলাচল করতে হয়। যার কারণে পড়তে হচ্ছে ডাকাত এবং অপহরকারীদের কবলেও। তাছাড়া মহিলারা পুরুষদের ভীড়ে অনেক সময় গাড়ীতে উঠতে না পেরে রাস্তায় দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে ঘন্টার পর ঘন্টা।ত বে কবে নাগাদ এ সমস্যা শেষ হবে তা সঠিক জানা যায়নি।
হিললাইন সার্ভিসের ম্যানজার মোঃ ইউসুফ জানায়, সড়কটির দুই জায়গায় গাড়ী চলাচলে অনুপযোগী হওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে হিললাইন সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছেন।এ অবস্তায় গাড়ী চলাচল করতে গিয়ে আমাদের প্রায় ২০টি গাড়ী সর্ম্পুন নস্ট হয়ে গেছে। তবে যাত্রীরা শীগ্রই সড়কে পুনরায় হিল লাইন বাস গুলো চালানোর জন্য কতৃপক্ষের নিকট আবেদন জানান এবং রাস্তা ও ব্রীজের কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।