এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও
লবণ ও মৎস্যখ্যাত এলাকা কক্সবাজার সদরের পোকখালীর গোমাতলী। এটি বর্তমানে ক্ষত-বিক্ষত যোগাযোগ সড়ক বললেই চলে। মানুষজনের চলাফেরা অনেকটা দায় হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থী, চাকরিজীবি, সাধারণ লোকজন ও নারীরা যাতায়াতে নিধারুন কষ্ট পাচ্ছে। জেলা সদরের উপকূলীয় এলাকা পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলীবাসী গেল ঘূর্ণিঝড় মোরা’সহ পরবর্তী সময়ে প্রচন্ড বৃষ্টিপাতে গোমাতলী হয়ে ঈদগাঁও আসার প্রধান সড়কটি ভেঙ্গে খাঁন খাঁন হয়ে পড়েছে। এক কথায় ক্ষত-বিক্ষত গোমাতলীর একমাত্র যোগাযোগ সড়কটি। ৬নং সুইচ গেইট সংলগ্ন বেড়িবাঁধ এখনো পরিপূর্ণ ভাবে সংস্কার না হওয়ায় বৃহত্তর এলাকার লোকজনদেরকে সকাল-সন্ধ্যা দু’বার করে জোয়ারের পানির সাথে সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হচ্ছে। বাপ-দাদার পুরনো ভিটে বাড়ি কিংবা স্বামীর দেওয়া জায়গা ছেড়ে অনেকে অন্যত্রে সরিয়ে যেতে নারাজ। যতই বৃষ্টি আর তোফান আসুক না কেন? নিজ জমির উপর বসতি থেকে পিছপা হবে না বলে জানান কয়েক অসহায় নারী। এভাবে অসংখ্য কষ্টে নিপতিত হওয়া মানুষজন মলিন চেহারায় আক্ষেপ কণ্ঠে জানান- একদিকে প্রতিনিয়ত জোয়ারে পানিতে বিধ্বস্ত, অন্যদিকে রাস্তাঘাটের করুন দশা। এত কষ্ট সহজে মেনে নেওয়া যায় না। দূর্ভোগ আর দূর্গতির মধ্য দিয়ে গোমাতলী এলাকাবাসীকে অতি কষ্টের বিনিময়ে দিন পার করতে হচ্ছে। পশ্চিম গোমাতলীর বাজার হতে ঈদগাঁও বাজারে আসে নানা কাজ কর্মের লক্ষে প্রতিনিয়ত প্রায় দশ হাজার নর-নারী। এই যোগাযোগ সড়কের বেহাল দশার চিত্র দীর্ঘদিনের। সংস্কারের নেই কোন কারও মাথা ব্যাথা। পুরো সড়ক জুড়েই খানা খন্দকে ভরপুর। বহু কষ্ট আর ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে লবণাক্ত পানি পেরিয়ে মা-বোন ও পুরুষরা প্রয়োজনীয় কাজে জেলা সদরের গুরুত্ববহ ঈদগাঁও বাজারমুখী হতে দেখা যাচ্ছে। এদিকে ২১ জুন গোমাতলীর প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার দু’পাশে লবণ মাঠ আর বিলে পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এখনো পর্যন্ত বহু গ্রামের চারপাশে অথৈয় পানি। চলাফেরার কোন সু-ব্যবস্থা নেই। আসন্ন ঈদ মৌসুমেও বিশাল এলাকাবাসীকে ঈদের খুশির আনন্দের পরিবর্তে হতাশার কালো ছায়া বিরাজ করার সম্ভাবনাও রয়েছে। তাই দ্রুততম সময়ে বেড়িবাঁধ সংস্কার সহ যোগাযোগ সড়কের নির্মাণ কাজ করে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে দূর্ভোগ আর দূগতি থেকে মুক্তি দেওয়ার আহবান জানান সচেতন মহল।