পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে জমজমাট কেনাকাটার সুযোগ উখিয়ায় আশংকাজনক হারে বেড়েই চলেছে ছিনতাইকারী ও রোমিওদের উৎপাত।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন শপিং মল এবং মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতাদের এক ধরণের ব্যস্ততা। তবে ক্রেতারা আতংকিত শপিং মলগুলোর সামনে উৎপেতে থাকা ছিনতাইকারী ও রোমিওদের পদচারণায়। বিশেষ করে কোটবাজার এবং উখিয়া সদর, মরিচ্যায় প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কেনাকাটা করতে আসা তরুণীদের বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করছে ভবঘুরে বিপদগামী কিছু উশৃঙ্খল যুবক। সেই সাথে ব্যস্ততার ফাঁকে ছিনতাইকারীরা সুযোগের জন্য উৎপেতে থাকে। উখিয়ার ইনানী এবং থাইংখালী থেকে কেনাকাটা করতে কয়েকজন নারীর সাথে কথা বললে তারা জানান, মার্কেটের সামনে এবং ভিতরে অবস্থান নেওয়া বখাটে রোমিওরা নানান বাজে উক্তির মাধ্যমে উত্যক্ত করছে। এই ছাড়া অনেক বখাটে যুবক পিছু নিতে দেখা যায়। এ রকম অসংখ্য ইভটিজিংয়ের অভিযোগ উশৃঙ্খল রোমিওদের বিরুদ্ধে।
বিশেষ করে, পরিবারের বিপদগামী বকে যাওয়া কিছু বখাটে যুবক লাইসেন্সবিহীন দামি মোটর সাইকেল হাকিয়ে পিছু নিচ্ছে কেনাকাটা করতে আসা যুবতী, স্কুল-কলেজছাত্রী থেকে শুরু করে সুন্দরী মহিলাদের পেছনেও। পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে মার্কেটে কেনাকাটা করতে গিয়ে ওই রকম বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছেন বলে অভিযোগ অনেকের। এছাড়া ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদ বাজারে কেনাকাটার ব্যস্ততায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারী ও পকেটমার চক্র। ঈদ আসলেই মৌসুমি ছিনতাইকারীদদের পদচারণা বেড়ে যায়। সুযোগ বুঝে ছিনতাইকারী এবং পকেটমার চক্র হামলে পড়ে। এদিকে উপজেলা জুড়ে ইতিমধ্যে ছোটখাটো পকেটমার এবং মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
ঈদে পরিবার নিয়ে কেনাকাটা করতে আসা কলেজ ছাত্র মিজানুর রহমান জানান, ঈদে পরিবার নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছি। কিন্তু বখাটেদের উৎপাত, আশালীন মন্তব্যের কারণে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে।
কোটবাজারে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, আমরা সবসময় সচেষ্ট এবং সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। সন্দেহজনক কোন কর্মকান্ড হলে তা প্রতিরোধ করা হবে।
মরিচ্যা বাজারের ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমদ জানান, ঈদে মানুষের ভিড়ের সুযোগ কাজে লাগিয়ে পকেটমার এবং ছিনতাইকারী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে পকেটমার চক্রের উপদ্রব বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
কোটবাজারে দোকান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি আবু ছিদ্দিক জানান, ঈদের কেনাকাটার জন্য ক্রেতারা মার্কেটে জমাজমাট ভিড় করছে । মহিলা ক্রেতারা রোমিওদের জ্বালায় অতীষ্ঠ হয়ে মার্কেট ছেড়ে চলে যাচ্ছে। ফলস্বরুপ ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের জরুরী বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সচেতন মহলের দাবী ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের জানমাল ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে ঐ সমস্ত বখাটে ও ছিনতাইকারীদের প্রতি নজরদারি আরো জোরদার করা প্রয়োজন।