মাহবুবুর রহমান ফাহিম, মালয়েশিয়া থেকে :
মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী আটকে পহেলা জুলাই থেকে তীব্র অভিযানের হুশিয়ারি দিয়েছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। মালয়েশিয়ায় বিদেশী শ্রমিক নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকর্তাদের স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে যে, তাদের অবৈধ বিদেশী কর্মীদের ই-কার্ড প্রোগ্রামের নির্ধারিত সময় ৩০ জুনের মধ্যে নিবন্ধন করে নিতে৷তা না হলে, তাদেরকে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে৷মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক মোস্তফার আলী বলেন, নির্ধারিত সময়ের পরও নিয়োগদাতাদের নিয়োগকৃত কমপক্ষে পাঁচ জন অবৈধ কর্মী পাওয়া গেলে নিয়োগকর্তাদের প্রত্যেক অবৈধ কর্মীর জন্য ১০ হাজার রিঙ্গিত করে জরিমানা করা হতে পারে এবং অবৈধ কর্মীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে৷তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন-
‘আমরা পূর্বে নির্দিষ্ট সময়সীমার (৩০ জুন) ক্ষেত্রে অনড় এবং এই সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে না৷ ১ জুলায় থেকে অবৈধ কর্মী রয়েছে এমন নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযান পরিচালনা করবো৷বিনামূল্যে ই-কার্ড এর আওতায় নিবন্ধনের জন্য ছয় মাস সময় দেয়া হয়েছে, সাথে সচেতনতাও বৃদ্ধি করা হয়েছে৷তাই নিয়োগকর্তাদের আমাদের দোষারোপ করা উচিত হবে না যদি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বৈধ কাগজপত্রহীন বা অবৈধ পথে যারা মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেছে তাদের জন্যেই ই-কার্ড কর্মসূচী চালু হয়েছে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে৷ বৃক্ষরোপন, কৃষি, ফ্যাক্টরি, নির্মাণ শিল্প ও সেবামূলক এই পাঁচটি খাতে বিদেশী শ্রমিকের সঙ্কট মোকাবেলার জন্যে ই-কার্ড প্রকল্প হাতে নেয় মালয়েশিয়া সরকার৷১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ জুনের মধ্যে যে কোন সময় ইস্যুকৃত ই-কার্ডের মেয়াদ থাকবে পরের বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত৷পরবর্তী ভিসা নেয়ার জন্যে এই সময়ের মধ্যে কর্মীদের নিজ নিজ দূতাবাস থেকে পাসপোর্ট বানিয়ে নিতে বলা হয়েছে৷মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের তথ্যমতে, ৭ জুন পর্যন্ত মোট ১০৪৫০৭ টি ই-কার্ড ইস্যু করা হয়েছে৷তবে অভিবাসন বিভাগের লক্ষ্য ছিলো ৪ থেকে ৬ লাখ অবৈধ বিদেশী অভিবাসী ই-কার্ড প্রকল্পে নিবন্ধন করবে৷
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।