সোয়েব সাঈদ, রামু:
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাজাহান আলি বলেছেন, ছাত্র, তরুন ও যুব সমাজকে সঠিক পথে পরিচালনা করে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে হবে। পারিবারিক, সামাজিক সুশিক্ষার মাধ্যমে তাদের উগ্রবাদ ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড থেকে দূরে রাখতে হবে। পাশাপাশি মানবিক, শিক্ষা, জনকল্যাণমূলক ও সৃজনশীল কর্মকান্ডে তাদের আরো বেশী করে সম্পৃক্ত করতে হবে। এজন্য তাদের বেশি বেশি কাজে মনোনিবেশ করাতে হবে। কোনভাবেই যেন তরুনরা অলস সময় না কাটায়।
ইউএনও মো. শাজাহান আলি সোমবার (১৯ জুন) সকাল দশটায় রামু উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে তরুন আলো প্রকল্পের অগ্রগতি অবহিতকরণ ও স্টেকহোল্ডারদের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সভায় জানানো হয়, জাতীয় পর্যায়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভেল্পমেন্ট কমিউনিটি সেন্টার-কোডেক ‘মানুষের জন্য’ ফাউন্ডেশনের সহায়তায় কক্সবাজার জেলার সদর, রামু এবং পেকুয়া উপজেলায় “তরুন আলো” নামক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, ‘বিকল্প গঠনমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততার মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুনদের উগ্রবাদ ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড থেকে দূরে রাখা। ইতিমধ্যে প্রকল্পের কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের কাজ অনেকদূর এগিয়েছে।
কোডেক তরুন আলো প্রকল্পের সমন্বয়কারী মো. হেলাল উদ্দিনের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, রামু কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল হক, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনজুমান আরা, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. বিল্লাল হোসেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন মো. ইউসুফ, রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মফিজুল ইসলাম, আলহাজ্ব ফজল আম্বিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমানুল হক, মেরংলোয়া রহমানিয়া মাদরাসার সুপার মুহম্মদ রফিক, রামু উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল হক প্রমূখ।
সভায় রামু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল, মাদরাসার শিক্ষক, পরিচালনা কমিটির সদস্য, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।