আতিকুর রহমান মানিক, কক্সবাজার
কক্সবাজারে বরকতী হালিমের মহা কারবার শুরু হয়েছে। চলমান রমজান মাসে কক্সবাজার শহরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও মফঃস্বল এলাকার হোটেল-রেস্তোরা সমূহে প্রস্তুতকৃত হালিমে মহা বরকত দেখা দিয়েছে। রমজান মাসের দুই তৃতীয়াংশ পেরিয়ে ঈদ সমাগত হলেও রোজার প্রথমার্ধে প্রস্তুতকৃত হালিমের অংশবিশেষ এখনো ডেকচিতে রয়ে গিয়েছে এ বরকতের কল্যাণে। আর প্রায় একমাস আগের বাসী-পঁচা এসব হালিম গলাকাটা দামে গিলিয়ে টু-পাইস কামিয়ে নিচ্ছে অসাধু হোটেল মালিকরা। শহরের হোটেল-রেস্তোরা ঘুরে এ চিত্রই দেখা গেছে। আর এতে জনস্বাস্হ্য হুমকিতে পড়েছে।
রোজাদাররা জানান, রমজান মাসে সারাদিন রোজা রেখে উপোস থাকার ফলে শরীর কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। এ দুর্বলতা পুষিয়ে নিতে ইফতার ও পরবর্তী সময়ে অনেকে হালিম খেয়ে থাকেন। বিভিন্ন শষ্যদানা, গোস্ত, রকমারী মশলা ও অন্যান্য উপকরন সহযোগে প্রস্তুত সুস্বাদু হালিম পুষ্টিকর আইটেম হিসাবে সবার প্রিয়। তাই বিশেষ করে রমজান মাসে হালিমের চাহিদা বেশী থাকে। এ চাহিদাকে পুঁজি করে অভিজাত থেকে মাঝারি ও ফুটপাতের ছালাদিয়া মার্কা হোটেলগুলো পর্যন্ত মহা ধুমধামে হালিম তৈরী করে বিক্রি করে আসছে। কিন্তু রান্না করা সব হালিম প্রতিদিন বিক্রি হয় না বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বয়-বাবুর্চিরা। বিক্রি শেষে প্রতিদিনের অবশিষ্ট হালিম থেকে যায় ডেকচিতে। খদ্দের কমে গেলে সবার অগোচরে রাতে হালিমের ডেকচি ঢুকিয়ে রাখা হয়। এসব হালিম চুলায় গরম করে আবারো পরদিন বিক্রি করা হয়। এ ভাবে হালিমের পরিমান কমে গেলে আবার কয়েকদিন পরে নতুনভাবে রান্না করা হালিমের সাথে আগের বাসি হালিম মিশিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে হরদম। সে হিসাবে প্রথম রোজায় রান্না করা হালিম এখনো ডেকচিতে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন স্বাস্থ্য সচেতন ভোক্তারা। শিক্ষক হামিদ সিকদার বলেন, এসব বাসি হালিম খেয়ে পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। এভাবেই চলছে গলাকাটা দামে বরকতী হালিমের মহা কারবার। বিভিন্ন হোটেলের সামনে লাল কাপড় জড়ানো বিশাল আকার ডেকচি-হানডিতে রাখা বিফ, মাটন ও চিকেন হালিম আসলে কতদিনের বাসি তা প্রসাশনিক তদারকি ও তদন্ত করলে হালিমের বরকত উধাও হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে । আর এতে রক্ষা পাবে ভোক্তাদের শরীর ও পকেটের স্বাস্হ্য।
হালিমের বরকতে, জনস্বাস্হ্য হুমকিতে !
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে