বিশেষ প্রতিবেদক:

কক্সবাজার শহরের সবচেয়ে অবহেলিত এলাকার নাম কুতুবদিয়া পাড়া। নাজিরারটেক কিংবা সমিতি পাড়া নামেও পরিচিত এই এলাকা। এখানকার বেশিরভাগ মানুষই গরীব-ছিন্নমূল। ১৮ জুন রবিবার বিকেলে কুতুবদিয়া পাড়া বাজারে ছোট ছোট কুমলমতি শিশুদের ভীড় জমে। তাদের মুখে আওয়াজ ওঠে ‘ভাইয়া আমাকে দেন’ আবার কোথাও ‘আমিও পড়বো ভাইয়া আমাকে দেন না’। কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয়ের জন্মদিন ছিলো ১৮জুন। বর্তমানে তিনি পবিত্র ওমরাহ হজ্জ পালনের জন্য সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। নেতার জন্মদিনে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও খাবার বিতরণ কর্মসূচি হাতে নেয় কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ছাত্রলীগ।

যথাসময়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরের অবহেলিত এলাকা কুতুবদিয়া পাড়ায় শিক্ষা সামগ্রী নিয়ে পৌঁছলেই ভীড় জমে সাধারণ মানুষের। এসময় শিশুদের মাঝে অন্যরকম আনন্দ বিরাজ করে। নতুন বই, খাতা, কলম, পেন্সিলসহ অন্যান্য শিক্ষা সামগ্রী পেয়ে তারা যেনো খুশিতে আত্মহারা। এসময় বাচ্চারা বই পেয়ে খুশিতে ছুটলো মায়ের দিকে। হঠাৎ এক বাচ্চা তার প্যাকেটটি খুলে বইটি পড়তে লাগলো। তখন পাশে এক ষাড়োর্ধ্ব মুরব্বী বলে ওঠলো- ‘প্রতিদিন যদি ছাত্রলীগ সভাপতির জন্মদিন হতো’। মূলতঃ সব অবহেলিত শিশুরা যেনো শিক্ষা সামগ্রী পায় এই আক্ষেপ থেকেই কথাটি বললেন তিনি। এদিকে ছাত্রলীগ সভাপতির জন্মদিনে ছিলো ভিন্ন আয়োজন। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ, ঈদ বস্ত্র ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

ব্যতিক্রমধর্মী এমন আয়োজনের উদ্যোক্তা কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ছাত্রলীগের সভাপতি মইন উদ্দীন বলেন- সম্প্রতি কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে এছাড়াও চট্টগ্রামে পাহাড়ধ্বসে অনেক মানুষ জীবন হারিয়েছেন। এমন সময় হৈ চৈ করে নেতার জন্মদিন পালন না করে সমাজের সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছি।ৎ

তিনি বলেন- ইশতিয়াক ভাই নিজেও সমাজের নানা অসংগতি নিয়ে কথা বলেন। তিনি কখনো অন্যয়ের সাথে আপোষ করেন না। সবসময় অসহায়দের পাশে থাকেন। নেতার জন্মদিন তাঁর প্রিয় কাজগুলোই করার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ে আঘাতপ্রাপ্ত এলাকায় ইতোপূর্বে বৃক্ষ রোপণ ও করেছেন বলে জানান তিনি। এমন কার্যক্রম অব্যাহত রেখে ছাত্রলীগের গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস ধরে রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এই ছাত্রনেতা।