হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী :
রামুর ঝুঁকিপূর্ণ গর্জনিয়া সেতু যেকোন মূল্যে রক্ষার ঘোষনা দিয়েছেন কক্সবাজার ৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। শনিবার (১৭জুন) দুপুরে সেতুর দক্ষিণ পাশের ভাঙনকৃত এপ্রোচ সড়ক পরিদর্শন শেষে তিনি এই ঘোষনা দেন।
সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, ‘সরকারি বরাদ্দ ছাড়াই আমরা ২০১৫ সালের জুনে বাঁকখালী নদীগর্ভে বিলীন হওয়া সেতুর প্রায় ৪০০ ফুট দীর্ঘ এপ্রোচ সড়ক গত ফেব্রুয়ারিতে পুন:নির্মাণ করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করেছি। সম্প্রতি ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে তা আবারো কিছুটা নষ্ট হয়েছে। বর্তমানে নষ্ট হওয়া সড়ক মেরামত এবং সেতু রক্ষার কাজ চলছে। যতবার সড়ক ভাঙবে, ততবার আমরা মেরামত করবো। সরকারিভাবে বরাদ্দ পেলে নদীর তলদেশ খনন করে গর্জনিয়া সেতুকে স্থায়ীভাবে রক্ষা করা হবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন, গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন (ইউপি) পরিষদের চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী, রামু উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়–য়া, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হক, সৈয়দ মো.আবদু শুক্কুর, ফরিদ আহমদ চৌধুরী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর, সাংবাদিক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি লোকমান হাকিম সিকদার, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন সিকদার সোহেল, গর্জনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হাফেজ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওলা, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ নোমান, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন সিকদার, গর্জনিয়ার স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সরওয়ার কামাল প্রমূখ।
এদিকে গর্জনিয়া সেতু পরিদর্শন শেষে সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল রামুর সবচেয়ে দুর্গম কচ্ছপিয়ার ঘিলাতলীতে-ঘূর্ণিঝড় মোরায় বিধ্বস্ত ঘিলাতলী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন পরিদর্শন করেন। বৃষ্টিতে ভিজে-পায়ে হেঁটে এবং কাঁদা মাটি মাড়িয়ে সাংসদ ঘিলাতলী গ্রামে যান। এ দৃশ্য দেখে গ্রামের উৎসুক জনতার ভিড় বাড়তে থাকে। সাংসদ কমল ল-ভ- বিদ্যালয় ঘর দেখে নতুন ভবন নির্মাণের ঘোষনা দেন। তখন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আলম, যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ রাসেল, ঘিলাতলী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মাওলানা ফোরকান উদ্দিন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।