পেকুয়া সংবাদদাতা:
পেকুয়া উপজেলায় জায়গা জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে এক নারীকে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে পেঠালেন এক প্রভাবশালী। এ এঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ওই নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে, গতকাল ১৫ জুন ভোর ৫টার দিকে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাবেক গুলদি চর পাড়া গ্রামে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন ভোরে ওই গ্রামের আমিরুল ইসলামের বসতভিটার জায়গা জবর দখলের চেষ্টা চালায় একই গ্রামের মৃত জালাল আহমদের পুত্র শাহাব উদ্দিন নেতৃত্বে একদল লোক। এসময় জায়গা জবর দখলে বাধা দেয় আমিরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা। এক পর্যায়ে প্রভাবশালী শাহাব উদ্দিন তার হাতে লাঠি নিয়ে আমিরুল ইসলামের বৃদ্ধা স্ত্রী কমরুন্নাহার কে পেঠাতে থাকেন। হামলায় আহত হয়ে কামরুন্নাহার মাঠিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারী শাহাব উদ্দিন সটকে পড়ে। পরে স্থানীয়রা এসে আমিরুল ইসলামের স্ত্রীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে। তার এ ঘটনায় আমিরুল ইসলামের পুত্র মো. জাফর আলম তার মায়ের উপর হামলাকারী শাহাব উদ্দিনসহ আরো কয়েকজনকে আসামী করে পেকুয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহারে জাফর আলম উল্লেখ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে শাহাব উদ্দিন ও তার ভাই বারেক তাদের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিল। ঘটনার দিন দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ায় পূর্ব পরিবল্পিতভাবে তার বৃদ্ধা মায়ের উপর হামলা চালিয়েছে এবং তাদের বসতভিটার জায়গা জবর দখলের জন্য চেষ্টা করেছে।
পেকুয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৃদ্ধা কামরুন্নাহার অভিযোগ করে বলেন, প্রভাবশালী শাহাব উদ্দিন লাটি ও ধারালো দায়ের কাদা দিয়ে তাকে মারধর করেছেন। তাকে শারিরীকি ও মানসিক নির্যাতন করেছেন। তার উপর হামলাকারীদের বিচার দাবী করেছেন। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে শাহাব উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পেকুয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান জানান, এ ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করেই দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।