নিখিল বিশ্বের দীর্ঘতম সোনালী বেলাভূমি , পরিভ্রাজক মনোহারী-নগরী কক্সবাজারের আপামর স্বাধীনতাকমী জনগণ আপনাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ জাতির সমগ্র উন্নয়নের সুদূরপ্রসারী কর্মপন্থা-অভিযাত্রা “শুভ হউক, সফল হউক”।
বিশ^মানবতার দিশারী-শ্রেষ্ট দেশ প্রেমিক, দেশ-জাতির প্রকৃত মান-উন্নয়নের আদর্শ-বঙ্গবন্ধু কন্যা-নিরলস কর্মপ্রেরণার উৎস, শেখ হাসিনা সমীপে আমাদের “স্বল্প প্রস্তাব মালা” নি¤œরুপে পেশ করা হলোঃ
দূরদর্শী-সুপরিকল্পিত প্রস্তাব মালাঃ
১) কক্সবাজার বিশ^বিদ্যালয় কলেজকে, নেত্রী কর্তৃক পূর্ব ঘোষণার আলোকে পূর্ণাঙ্গ বিশ^বিদ্যালয়ে রুপ দান। (২০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা আছে)। যা নেতাদের দূর্লোভের কারণে এখনও বন্ধ হয়ে আছে। উক্ত জমিতে বার্মাইয়াদের অবৈধ স্থাপনা করার সুযোগ করে দিয়েছে।
২) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-বিরোধীয় নেত্রী থাকাকালীন সময়ে প্রথম কক্সবাজারে উষ্ণ সংবর্ধনায় ভূষিত-স্মৃতিধন্য “সাহিত্যিকা উচ্চ বিদ্যালয়” ও “সাহিত্যিকা মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে” ৬ বছর আগে নির্মিতব্য দুইটি দালানের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ।
৩। বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণতম আওয়ামীলীগ নেতা কামাল হোসেন চৌধুরী কর্তৃক ৮ বছর পূর্বে প্রস্তাবিতঃ- দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদার কক্সবাজার এয়ারপোর্টের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর করা হোক।
৪। প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু বিএড কলেজ পূণঃনির্মাণ। (জমি নির্ধারিত আছে)।
৫) বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরী ছাত্রাবাস-কাম লাইব্রেরী পূণঃনির্মাণ।
৬। মাননীয় প্রধামনন্ত্রী কর্তৃক সদ্য উদ্বোধন করা, কলাতলী থেকে নাফটেক অবদি শেখ হাসিনা মেরিন ড্রাইভ রোড ঘোষণা করা হোক।
৭) স্বদেশের সকল স্কুল-কলেজ-বিশ^বিদ্যালয়-মাদ্্রাসা-মক্তব-পরিচালনা কমিটি এবং সরকারী সকল সংস্থায়, অন্যুণ দুইজন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধির আসন সংরক্ষিত করণ।
৮) হলিডে মোড় থেকে লিংকরোড পর্যন্ত দু’পাশের ড্রেন, ফুটপাত আইল্যান্ড পার্কসহ দু’মূখী প্রশস্ত দুইশ বছরের প্রাচীন মহা সড়কের জরুরী উন্নয়ন।
৯) বড়ছরা হতে নাফ-টেক অবধি পাহাড় মালায় নিবীড় অরন্যাণী সৃজন (বোটানিক্যাল, ইকো, সাফারীপার্ক সব এখানে হবে) (দর্শনীয় জাতীয় অরণ্যানী, পশু-পাখির অভয়ারন্য)।
১০) রেজু নদীর মোহনা থেকে শাহ্্পরীর দ্বীপ অবধি, তিমি মাছের বিচরণ ক্ষেত্রে-সামুদ্রিক এক্যোরিয়াম সৃজন।
১১) পর্যটনের সুদূর প্রসারী-প্রকল্প-পরিচ্ছন্ন নগরী-বাস্তবায়নের মহা মানসে, “কক্সবাজার সিটি কর্পোরেশন” ঘোষণা। প্রকৃত ত্যাগী মুক্তিযোদ্ধাকে মনোয়ন দিয়ে, বাংলার বুকে আদর্শ-দৃষ্টান্ত স্থাপন করা।
১২) সাগরিকা দিঘীসহ পশ্চিম দিকে বিস্তৃত মানানসই শিশু পার্ক নির্মান।
* ৭০ বছর উর্ধ্বে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারী খরচে হজ¦ব্রত পালনে সু-ব্যবস্থা গ্রহণ।
* ৬০ বছর উর্ধ্বে উন্নত চিকিৎসার্থে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বিদেশ গমনে বিমান ভাড়া মওকূপ করণ।
* বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের সমস্ত আবাসিক বিদ্যুৎ বিল মওকূপ করণ।
* বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উত্তরসূরীগণের আবাসন প্রকল্প/দর্শনীয় রেষ্ট হাউজ-হসপিটাল, উদ্যান খেলার মাঠসহ “একটি বাড়ী একটি খামার উদ্যান” উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০ একর সরকারী পতিত খাস জমি বরাদ্দ করতঃ মুক্তিযোদ্ধা পল্লী গঠন করা হউক। ঐ সরকারী পতিত খাস জমিতে প্রতিনিয়ত “বার্মাইয়া এবং দেশীয় সন্ত্রাসীরা অবৈধ স্থাপনা ও আড্ডা গড়ে, রাষ্ট্রদ্রোহী কাজে লিপ্ত”।
* বজ্রকণ্ঠে জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে দেশ স্বাধীন করা হলো। মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় অনুষ্ঠানে জয় বাংলা বলতে পারেন। কতিপয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ জয় বাংলা বলতে কিসের লজ্জা পায়? তারা যেন দেশের হর্তাকর্তা, জয় বাংলা বললে, জাত যাবে যাবে ভাব? বিশ^বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্্রাসা, স্কুলের অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষকগণ-উচ্চস্বরে খোলা মনে জয় বাংলা বলা অতি প্রয়োজন। এমনকি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ সরকারী সকল অনুষ্ঠানাধিতে “জয় বাংলা” বলে উপস্থিত সকলকে, অনুপ্রাণিত করবেন।
মাননীয়, জনদরদী নেত্রী সমীপে উপরোক্ত প্রকল্প মালা সুবিবেচনার্থে সবিনয়ে পেশ করা হইল।
বিনীত-
প্রস্তাবনা প্রণয়ন ও নিবেদনে:- কক্সবাজারে প্রথম সশস্ত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক, প্রবীণ রাজনীতিবিদ, শিক্ষানুরাগী, ক্রীড়াবিদ; পঞ্চাশটিরও অধিক ধর্ম, শিক্ষা, সংস্কৃতি ক্রীড়া-প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও দাতা; জয় বাংলা বাহিনী’৭১ প্রধান-
কামাল হোসেন চৌধুরী।